কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জন্য একটি নামী কোম্পানির ইউএসজি মেশিন ২৭ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। কিন্তু রেডিওলজিস্ট না থাকায় হাসপাতালে সেই মেশিন ঢোকানো যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যদপ্তর যতক্ষণ না রেডিওলজিস্ট দিচ্ছে ততক্ষণ ওই মেশিন হাসপাতালে আনা যাবে না। হাসপাতালে ইউএসজি পরীক্ষারও ছাড়পত্র দেওয়া যাচ্ছে না। তাই দ্রুত রেডিওলজিস্ট চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে।
ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার চন্দন ঘোষ বলেন, হাসপাতালে এক্স-রে ফিল্ম নেই। তাই এক্স-রে হলেও দুর্ঘটনাগ্রস্ত জখম রোগীদের রিপোর্ট এবং প্লেট দেওয়া যাচ্ছে না। এক্স-রে ফিল্মের জন্য উপর মহলে জানানো হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ছ’মাস আগে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জন্য ২৭ লক্ষ টাকা খরচ করে একটি কোম্পানির এই ইউএসজি মেশিন বুক করা হয়। কিন্তু নিয়ম হলো, যতক্ষণ না সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে রেডিওলজিস্ট আসছেন ততক্ষণ পর্যন্ত হাসপাতালে এই মেশিন ঢোকার ছাড়পত্র দেওয়া হয় না। ফলে ছ’মাস ধরে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জন্য বুক করা ওই দামি মেশিন এখনও পর্যন্ত ওই কোম্পানির শোরুমেই পড়ে আছে। বাধ্য হয়ে রোগীদের বাইরে থেকে মোটা টাকা খরচ করে ইউএসজি’র পরীক্ষা করতে হচ্ছে।
হাসপাতালে এক্স-রে ফিল্ম না থাকায় রোগীরা এক্স-রে রিপোর্ট ও এক্স-রে প্লেটও পাচ্ছেন না। হাসপাতালে চিকিৎসকরা কম্পিউটারেই ছবি দেখে রোগীদের বলে দিচ্ছে ঠিক কী হয়েছে। এনিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের। তাঁদের বক্তব্য এভাবে এক্স-রে হয়? যদিও জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের দাবি, রাজ্য থেকে এক্স-রে ফিল্মের সরবরাহ না থাকাতেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ঢাকঢোল পিটিয়ে চালু করা হয়েছিল পাঁচতলা ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। রোগীদের উপরে উঠতে যাতে কষ্ট না হয় তার জন্য রয়েছে লিফট। গোটা হাসপাতালটিই সিসি টিভি ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলেই অভিযোগ উঠেছে, ইউএসজি বা এক্স-রে’র মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা না দিয়ে কর্তৃপক্ষ শুধু বাইরেটাই চাকচিক্য করেছে।