গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃত জুনেইদ আহমেদ(৫) ফকির পাড়ার বাসিন্দা। জুনেইদ দাসপাড়ায় টিউশন পড়ে কাকার সঙ্গে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। সেসময় গাড়িটি তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই দ্রুত এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইসলামপুর পুলিস জেলার এসপি সচিন মক্কর বলেন, লাঠিচার্জ বা গুলি চালানো হয়নি। কয়েকটি টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটানো হয়েছে। দুই তিন জন পুলিস কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা করান হচ্ছে। এদিনের ঘটনার পিছনে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ট্রেকারটি দাসপাড়া থেকে ইসলামপুরে যাচ্ছিল। দাসপাড়ার সামান্য দূরে ফকিরপাড়া পিরসাহেবের মোড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল। গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এর পরে উত্তেজিত জনতা গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে তারা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করে। ঘটনাস্থলে পুলিস এলেও তাদের ঘিরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পুলিসের লাঠির আঘাতে অনেকেই জখম হয়েছেন। টিয়ার গ্যাসের সেলের আঘাতেও কয়েকজন জখম হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় চিকিৎসক দিয়েই চিকিৎসা করান হয়েছে। ফলে হাসপাতালে এখনও কেউ ভর্তি হয় নি। অবরোধ আন্দোলন চলাকালীন ওই সময় একটি বাস আসছিল। উত্তেজিতরা সেই বাসটিতেও ভাঙচুর চালায়। দাসপাড়া থেকে চোপড়া ও ইসলামপুর পকেট রুটে অনেকগুলি গাড়ি চলে। দাসপাড়া থেকে নানা কাজে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ চোপড়া ও ইসলামপুরে যাওয়া আসা করে। অবরোধের কারণে এদিন দীর্ঘসময় যানবাহন চলাচল করেনি। ফলে অনেকের গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকলেও তা তাঁরা বাতিল করতে বাধ্য হন।
দাসপাড়া এলাকায় এই পকেট রুটটি সরু। প্রচুর যানবাহন চলাচল করে। সেসঙ্গে প্রচুর মানুষও চলে। গ্রামের রাস্তায় যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রনের দাবি উঠেছে।