রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
আশঙ্কাজনক অবস্থায় জখম মধুসূদনবাবুকে প্রথমে জটেশ্বর উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর চোট গুরুতর থাকায় তাঁকে পরবর্তীতে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে এবং সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে জটেশ্বরের হাসপাতালপাড়ায় এশিয়ান হাইওয়ে লিঙ্ক রোডে গাড়ি তল্লাশির দায়িত্বে ছিলেন মধুসূদনবাবুও। দুপুর ১২টা নাগাদ ফালাকাটার দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি মোটর বাইক ট্রাফিক আইন ও তল্লাশিকে তোয়াক্কা না করে মধুসূদনবাবুকে ধাক্কা দিয়েই বীরপাড়ার দিকে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, মোটর বাইকটিতে তিনজন যুবক ছিল। তাদের মাথায় হেলমেট ছিল না। তাই রাস্তায় পুলিস দেখে ভয়ে তারা মোটর বাইক ছুটিয়ে পালিয়ে যায়।
আলিপুরদুয়ার জেলার পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, গাড়ি তল্লাশির সময় হোমগার্ড মধুসূদনবাবু একটি মোটর বাইকের ধাক্কায় গুরুতর জখম হন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি মোটর বাইকে তিনজন আরোহী ছিল। তাদের মাথায় হেলমেট ছিল না। পলাতক তিন যুবককে ধরার চেষ্টা চলছে।
কুমারগ্রামের মধ্য হলদিবাড়ির বাসিন্দা মধুসূদনবাবু কেএলও’র প্রথম ব্যাচের চিফ ইন কমান্ড ছিলেন। তিনি ফেরার কেএলও সুপ্রিমো জীবন সিংয়ের ছায়াসঙ্গী ছিলেন। জঙ্গি জীবন ছেড়ে মধুসূদনবাবু পরে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসেন। এরপর অন্যান্য প্রাক্তন কেএলও সদস্যদের মতো তিনিও গত বছর হোমগার্ডে চাকরি পান। চাকরি পাওয়ার পর তাঁর কর্মস্থল ছিল জটেশ্বরে।