বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সারা বছর পর্যটকের ভিড়ে ঠাঁই নেই অবস্থা হয় দার্জিলিং মেলের। বলা বাহুল্য, এই ট্রেনের সিংহভাগ যাত্রীই পর্যটক। যাঁরা এনজেপি স্টেশনে নেমে অটো, টোটো, রিকশ বা ছোট গাড়ি করে চলে আসেন শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন লাগোয়া তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ডে। যেখান থেকে ফের বাস বা ছোট গাড়ি নিয়ে চলে যান দার্জিলিং, গ্যাংটক বা পাহাড়ের অন্য কোনও ঠিকানায়। ভ্রমণ শেষে আবার ফেরার জন্যও সেই দার্জিলিং মেলই লক্ষ্য। সেই একইভাবে এনজেপি স্টেশনে যাওয়া। বছরের পর বছর ধরে মাঝখানে এই আট কিলোমিটার পথের ঝক্কি চলছেই।
এই ঝক্কি কমাতে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি, দার্জিলিং মেল শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হোক। সেই দাবি মেনে নিয়ে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল সিদ্ধান্তও নিয়েছে দার্জিলিং মেল শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন থেকে ছাড়া হবে। কিন্তু আজও সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি স্থানীয় যাত্রী এবং পর্যটকদের। তার প্রধান কারণ শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন চত্বরে কার পার্কিংয়ের মতো উপযুক্ত উন্মুক্ত জায়গা যেমন নেই, তেমনই অন্যান্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য পরিকাঠামো গড়ারও জায়গা নেই। রেল কর্তৃপক্ষ বহু চেষ্টা করেও জায়গা জবরদখলমুক্ত করতে পারেনি। একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেও তার সুরাহা হয়নি বলে রেল কর্তারা জানিয়েছেন। এই জবরদখল না ওঠানো গেলে দার্জিলিং মেল যে শিলিগুড়ি জংশনে যেতে পারবে না রেল কর্তারা তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, জবরদখলের পিছনে রাজনৈতিক মদত থাকায় কাজটি আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নীলাঞ্জন দে বলেন, এটা একটা বড় সমস্যা। দার্জিলিং মেলের মতো ট্রেনের যাত্রীদের জন্য যে পরিসর দরকার শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনে তা নেই বলেই ট্রেনটিকে নেওয়া যাচ্ছে না। আমাদের কাটিহার ডিভিশনের আধিকারিকরা এনিয়ে স্থানীয় প্রশাসনিক স্তরে কথা বলছেন। সমস্যা মিটলে তবেই দার্জিলিং মেল জংশনে নিয়ে যাওয়া যাবে।
রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব অবশ্য স্পষ্ট বলেছেন, রেলের তরফে কেউই এখনও অফিসিয়ালি আমাদের কিছু জানায়নি। ছ’ সাত বছর আগে একবার বলা হয়েছিল, বস্তি দোকান ইত্যাদি তুলে দিতে হবে। কিন্তু মুখের কথায় কি এভাবে দোকান বস্তি তুলে দেওয়া যায় নাকি? তাছাড়া রেল তো আমাদের সঙ্গে অসহযোগিতা করছে। যাত্রীদের এনজেপি থেকে জংশন পর্যন্ত আনা নেওয়ার জন্য আমাদের এনবিএসটিসি বাস চালাতে চায়। আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু রেল এনজেপি স্টেশনে সরকারি বাস ঢুকতে দিচ্ছে না। সেখানে প্রাইভেট গাড়ি ঢুকছে অথচ সরকারি বাস ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। বলছে আগে জংশন খালি করো তারপর বাস ঢুকবে। এটা আবার কী রকম কথা? আগে ওরা প্রস্তাব দিক জংশনের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের জন্য ঠিক কী হবে। তারপর আলোচনা হবে।