কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত ১৩ আগস্ট রঞ্জনবাবুর বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তোলেন শিলিগুড়ি শহরের একটি প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষিকা। অভিযোগকারী শিক্ষিকার পাশে তৃণমূলের মহিলা সমিতি দাঁড়িয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শুক্রবার রঞ্জনবাবুর বিরুদ্ধে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন আরও মহিলা। তিনি শহরের চয়নপাড়ায় একটি বেসরকারি হোম চালান।
এবার চাঞ্চল্যকর ওই অভিযোগগুলি নিয়ে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন রঞ্জনবাবু। প্রকাশ্যে কারও নাম না করলেও এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে রঞ্জনবাবু বলেন, তিনদিনে দু’জন মহিলা আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন। আরও মহিলাকে দিয়ে এই ধরনের অভিযোগ করানো হবে। এই খেলা সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি নয়, দলেরই একাংশ খেলছে। মহিলাদের দিয়ে আমাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে আমাকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র তারা করছে। দলের জেলা সভাপতি তথা পর্যটনমন্ত্রীকে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার সভাপতি তথা পর্যটনমন্ত্রী অবশ্য বলেন, বিষয়টি জানা নেই। এব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। সবে আমি কলকাতা থেকে ফিরলাম। এনিয়ে রঞ্জনের সঙ্গে কথা বলব।
দলের একাংশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলার পাশাপাশি দলের জেলা সভাপতির ভূমিকা নিয়েও রঞ্জনবাবু কার্যত সরব হন। তিনি বলেন, প্রথম অভিযোগ ওঠার পর দলের জেলা সভাপতি দু’বার আমাকে ডেকে কথা বলেন। জেলা সভাপতি উষ্মা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বলিষ্ঠ কোনও পদক্ষেপ নেননি। জেলা সভাপতি আমার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারতেন। তাতেও আমার আপত্তি ছিল না। সেসময়ে ব্যবস্থা নিলে হয়তো দ্বিতীয় অভিযোগ উঠত না। কেন তিনি অপেক্ষা করছেন? তা বুঝতে পারছি না। সমগ্র বিষয়টি দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানিয়েছি। এখন দলের কাছে সুবিচার চাইছি। আশা করছি, সভাপতি দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যবস্থা নেবেন। তা হলে দলের ভালো হবে। দলের জেলা সভাপতি তথা পর্যটনমন্ত্রী অবশ্য বলেন, কে, কী বলছে, সে প্রশ্নের উত্তর সাংবাদিকদের কাছে দিতে পারব না। যা বলার দলের কাছেই বলব।
বির্তকিত তৃণমূল নেতা রঞ্জনবাবু পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পুরসভার কাউন্সিলার। কখনও সরাসরি তৃণমূলের প্রতীক চিহ্নে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছেন। আবার দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর তিনি নির্দল হিসেবে পুরভোটে লড়াই করে জয়ী হয়ে নিজের ক্ষমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে পর পর দুই মহিলা অভিযোগ তোলায় বিস্মিত রঞ্জনবাবুর অনুগামীরা। তাঁরা বলেন, রঞ্জনবাবু শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকেন। তিনি দলীয় প্রতীক চিহ্নে ভোটে দাঁড়িয়ে ১৪ ভোটে জিতেছিলেন। নির্দল হিসেবে জিতেছিলেন ১৮০০ ভোটে। এখন ভোটের আগে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে দলেরই একাংশ তৎপর হয়েছে। এতে রঞ্জনের কোনও ক্ষতি হবে না। রঞ্জনবাবু বলেন, বিগত বামফ্রন্ট জমানা থেকেই দলের সঙ্গে আছি। মানুষের জন্য লড়াই করছি। এখন দলেরই একাংশ মহিলাকে নিয়ে পেছন থেকে যে খেলা শুরু হয়েছে, তাতে খারাপ লাগছে।