রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের চয়নপাড়ায় ওই হোমটি রয়েছে। দোতলা ওই হোমে বর্তমানে পাঁচ-ছ’জন আবাসিক আছেন। সেখানেই হোমের সম্পাদিকা তাঁর স্বামী ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকেন। হোমের সম্পাদিকা বলেন, সম্ভবত ২০১৫ সালে পুর নির্বাচনে রঞ্জনবাবুকে আমরা ভোট দিয়েছিলাম। তিনি ভোটে জয়ী হওয়ায় সকলেই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। তখন হোমের মেয়েদের নিয়ে আনন্দ করার জন্য তাঁর কাছে পাঁচ কেজি মাংস চাই। সেই সময় তিনি মাংস দেওয়ার কথা বলে অনৈতিক দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি আরও আপত্তিকর কথা বলেন। এরপর যখনই তাঁর কাছে গিয়েছি, তখনই তিনি আপত্তিকর কথা বলেছেন। ভয়ে এত দিন তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারিনি। কয়েকদিন আগে প্রতিবাদী শিক্ষিকার খবর পড়েই আমি সাহস পেয়েছি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে পুলিসের কাছে অভিযোগ করেছি। কয়েকদিন আগে এই ব্যাপারে ফোনে ‘দিদিকে বলো’তেও অভিযোগ জানিয়েছি।
প্রসঙ্গত, অনৈতিক কার্যকলাপ চলার অভিযোগে ২০১৬ সালে সংশ্লিষ্ট হোমে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি। তারা সেখান থেকে বেশ কিছু শিশুকে জলপাইগুড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। হোমের সম্পাদিকার অভিযোগ, রঞ্জনবাবুর দাবি না মানায় তিনি প্রভাব খাটিয়ে হোম বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কয়েকমাস পরই প্রশাসনের নির্দেশে সেই হোম চালু করা হয়।
এব্যাপারে রঞ্জনবাবু অবশ্য বলেন, ওই হোমে মেয়েদের দিয়ে অবৈধ কার্যলাপ করানোর অভিযোগে তা বন্ধ করে দিয়েছিল সিডব্লুসি। তারপর হোমের সম্পাদিকা আবার সেটি চালু করেন। তাঁর জন্য হোমের পাশে এক বাড়িতে পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়েছে। স্থানীয় এক প্রতিবেশী প্রতিবাদ করায় তাঁকেও শাসিয়েছেন ওই মহিলা। এলাকার প্রাক্তন এক কাউন্সিলারকেও নানা রকমভাবে ভয় দেখিয় দমিয়ে রেখেছিলেন তিনি। গত ১০ আগস্ট তাঁর অপকর্ম নিয়ে এলাকার বাসিন্দা ও মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি থানায় ডেপুটেশন দিয়েছে। তাঁরা আমার কাছেও এসেছিল। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি পুলিসের কাছে জানিয়েছিলাম। সেজন্যই ওই মহিলা এখন আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। এসব করে তিনি রক্ষা পাবেন না।
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই ঘটনা শুনেছি। যেমন হোমের সম্পাদিকা একটি অভিযোগ করেছেন, তেমনি হোমের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীরাও একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। দু’টি অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাউন্সিলার রঞ্জনবাবু পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। কয়েকদিন আগে তাঁর বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তোলেন সুভাষপল্লির একটি প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষিকা। পুলিসের দ্বারস্থ হওয়ার পাশাপাশি তিনি ওই অভিযোগ মহিলা কমিশনের কাছেও জানিয়েছেন। ওই ঘটনা নিয়ে তদন্তের দাবিতে এদিন রঞ্জনবাবুর বিরুদ্ধে পুরসভার কমিশনারের কাছে ডেপুটেশন দেন সিপিএমের মহিলা কাউন্সিলাররা। দলীয় কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ ওঠায় তৃণমূলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রঞ্জনবাবু অবশ্য এই ব্যাপারে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন।