বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দু’দিন আগে মেয়র পরিষদের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে কলকাতায় গিয়েছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোকবাবু। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সহ কয়েকজন শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে শিলিগুড়িতে ফিরে মেয়র বলেন, রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিলিগুড়িতে দৈনিক পরিস্রুত পানীয় জলের প্রয়োজন প্রায় ৭২ মিলিয়ন লিটার। মাথাপিছু প্রয়োজন ৭০ লিটার জল। আমার মাথাপিছু পেয়ে থাকি মাত্র ৪০ লিটার করে জল। দীর্ঘ ২৫ বছর আগে বর্তমান পানীয় জল প্রকল্পটি তৈরি করেছিল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। সেই প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় পুরসভা বহন করেছিল। সেই সময় ৩০টি ওয়ার্ডের চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রকল্পটি করা হয়েছিল। বর্তমানে শহরে ওয়ার্ডের সংখ্যা বেড়ে ৪৭টি। জনসংখ্যা প্রায় সাতলক্ষ। যার ফলে এখন পানীয় জলের চাহিদা মেটানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের আম্রুত প্রকল্প আবার চালু করা হচ্ছে বলে শুনেছি। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের আম্রুত প্রকল্পের মাধ্যমে এই শহরের পানীয় জলের নতুন প্ল্যান্ট তৈরি করা হলে ভালো হয়। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই প্রস্তাবে নীতিগত সমর্থন জানিয়েছেন। পাশাপাশি শহরের পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে ১২টি ডিপ টিউবওয়েল বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি মনোজ পন্থের সঙ্গে দেখা করে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। যার মধ্যে চারটি ডিপ টিউবওয়েল বসানোর জন্য পুরসভা দু’কোটি টাকা খরচ করবে বলে জানানো হয়েছে।
মেয়র আরও বলেন, নাগরিক পরিষেবার মানোন্নয়ন নিয়ে আগামী ১৯ আগস্ট দীনবন্ধু মঞ্চে একটি নাগরিক কনভেনশন করা হবে। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার সহ শহরের সর্বস্তরের নাগরিকদের সেই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁদের মতামত, প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি আগামী ২০৩০ সালের লক্ষ্য নিয়ে শহরকে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে শহরে একটি সমীক্ষা করা হচ্ছে। ওই সভায় সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।