কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের সজল বিশ্বাস বলেন, ময়নাগুড়ি সদরে এক একজনের ২-৩টি করে টোটো আছে। পরিবহণ দপ্তরের বিধি অনুযায়ী কোন টোটো বৈধ আর কোন টোটো অবৈধ, সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। এনিয়ে আগে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলাম। সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছিল ময়নাগুড়ি সদরে টোটো চালাতে গেলে চালকদের আইকার্ড লাগবে। কিন্তু পরবর্তীতে ওই উদ্যোগ আর কার্যকর হয়নি। এর পরেও যেহেতু টোটোগুলির কোনও লাইসেন্স নেই সেকারণে আমরা টোটোর সঠিক সংখ্যা জানি না।
আইএনটিটিইউসি’র ময়নাগুড়ির ব্লক সভাপতি পরিতোষ রায় বলেন, টেম্পোরারি আইডেন্টিফিকেশন নম্বরের জন্য অনেক টোটোচালকই আবেদন করেছেন। তাঁদের সেই আবেদন ব্লক অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে যে টোটোগুলির বৈধ কাগজ রয়েছে তারা ওই নম্বর পাবে। পাশাপাশি ময়নাগুড়ি সদরে টোটোর দাপট রুখতে প্রশাসনকে আমরা সবরকমভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।
ময়নাগুড়ি থানার ওসি (ট্রাফিক) মানিক দাস বলেন, আমরা সরকারি বেশকিছু নিয়ম এবার থেকে কড়াভাবে পালন করব। ১৮ বছর বয়সের নীচে কেউ টোটো চালালে ওই টোটো বাজেয়াপ্ত করা হবে। জাগৃতি মোড়, ট্রাফিক মোড়, দুর্গাবাড়ি, গার্লস স্কুলের সামনে আমরা টোটো দাঁড়াতে দেব না। সেজন্য প্রাথমিকভাবে সকলকে জানানো হচ্ছে। পুলিস কর্মীরা প্রতিদিন রাস্তায় টহল দিচ্ছেন। কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে আমরা আইনি পদক্ষেপ করব।
ময়নাগুড়ি ব্লকে টোটোর দৌরাত্ম্য এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ময়নাগুড়ি সদরের নো-এন্ট্রি এলাকার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে সকাল থেকে টোটোগুলি সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। একারণে অযথা যানজট হয়। হেঁটেও সুষ্ঠুভাবে চলাচল করা যায় না। ময়নাগুড়ির গুরুত্বপূর্ণ জলপাইগুড়ি বাসস্ট্যান্ড, জাগৃতি মোড়, হাসপাতাল মোড় সহ একাধিক জায়গায় টোটোর অলিখিত স্ট্যান্ড তৈরি হয়ে গিয়েছে। জলপাইগুড়ি, ধূপগুড়ি স্ট্যান্ডে বাস আসার সঙ্গে সঙ্গে টোটোচালকদের মধ্যে যাত্রী তোলার জন্য ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। একে অপরকে টেক্কা দিয়ে যাত্রী তুলতে এরা বাসের সামনেই দাঁড়িয়ে যায়। যেকারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। ময়নাগুড়ি বিভিন্ন মোড়ে যেভাবে টোটোর উৎপাত চলছে তা সামলাতে পুলিসকে হিমশিম খেতে হয়। ময়নাগুড়ির টোটোচালকরা শুধু যাত্রীই তোলেন না তাঁরা টোটোয় অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণ করেন। ময়নাগুড়ি সদর এলাকায় টোটোর সংখ্যা কত তার সঠিক হিসেব ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের কাছেও নেই। প্রশাসন এখনও টোটোগুলিকে টেম্পোরারি আইডেন্টিফিকেশন নম্বর দেয়নি। ফলে সারাদিন ময়নাগুড়ি সদর সহ আশেপাশের গ্রামের টোটোচালকরাও এখানে এসে টোটো চালিয়ে যান। ময়নাগুড়ি সদর এলাকায় বেশ কিছু টোটোর দোকান খোলা রয়েছে। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দাবি, সব দোকানের ট্রেড লাইসেন্স নেই। যারা ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান করার কথা প্রধান জানিয়েছেন।