বিএনএ, মালদহ: স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হঠাৎ নাকা চেকিং শুরু করেছে মালদহ জেলা পুলিস। বৃহস্পতিবার জেলাজুড়ে ওই নাকা চেকিং চলবে বলে জেলার পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন। যাতে কেউ পরিকল্পনা মাফিক নাশকতা না চালাতে পারে তারজন্য ‘সারপ্রাইজ’ নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে পুলিস সুপার জানান। বুধবার থেকেই এব্যাপারে পুলিস প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। পুলিস সুপার বলেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মালদহ জেলার নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে। জেলার চারপাশে থাকা আন্তঃরাজ্য এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিএসএফের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলছি। তাদের যে কোনও প্রয়োজনে পুলিস সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে। মালদহ থানা এলাকায় থাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস সংস্থার প্রকল্প এলাকা পুলিস আধিকারিকরা ঘুরে দেখেন। মালদহ টাউন সহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশনগুলিতে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। এব্যাপারে জেলা পুলিস জিআরপি এবং আরপিএফের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তবে এবার আমরা হঠাৎ নাকা চেকিংয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। জেলার প্রতিটি থানাকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। স্থায়ী নাকা চেকিং করলে অনেক সময় সাধারণ মানুষ পুলিসের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তোলে। হঠাৎ এবং স্বল্প সময়ের জন্য নাকা চেকিং করলে সেই সমস্যা হবে না। অন্যদিকে, স্থায়ী চেকপোস্টের খবর দুষ্কৃতীদের কাছে আগাম থাকে। ফলে নাশকতা চালানোর জন্য কেউ সংশ্লিষ্ট রাস্তা ধরে যাবে না। তারা ওই পথ এড়িয়ে গন্তব্যে চলে যাবে। হঠাৎ নাকা চেকিং শুরু হলে আমরা সহজেই দুষ্কৃতীদের ধরতে পারব।
প্রসঙ্গত, মালদহ রাজ্যের মধ্যে অন্যতম স্পর্শকাতর জেলা। এ জেলায় দীর্ঘ বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। তারমধ্যে জল সীমান্ত অনেকাংশ জুড়ে রয়েছে। ওই পথ ধরে বাংলাদেশ থেকে চোরাচালানকারী ও দুষ্কৃতীরা ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে। অন্যদিকে, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের কয়েকটি সংগঠন ভারত বিরোধী প্রচার শুরু করেছে।
এক পুলিস আধিকারিক বলেন, কেন্দ্র এবং রাজ্য গোয়েন্দাদের কাছে আসা তথ্য অনেক সময় আমাদের জানানো হয়। সেইমতো আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করি। সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেও সজাগ থাকতে বলা হয়। সারাবছর এই প্রক্রিয়া চলে। তবে বিশেষ বিশেষ দিনে বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়।