কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
এদিন শিলিগুড়িতে দলের জেলা নেতাদের সঙ্গে প্রথমে সাক্ষাৎ করেন দার্জিলিংয়ের সংসদ সদস্য। এরপর তিনি স্থানীয় একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, জিটিএ চুক্তির সময় অনেক আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় রাজ্য থেকে জিটিএ’তে বহু দপ্তর স্থানান্তরিত হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার কথাও বলা হয়েছিল। জিটিএ গঠনের সময় আরও অনেক কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেগুলি এখনও বাস্তবায়িত করা হয়নি। মানুষের চাহিদাও পূরণ হয়নি। আর এখন জিটিএ চলছেও অন্য রকমভাবে। নিজের দলের কর্মকর্তাদের জন্য জিটিএ কাজ করছেন। তাছাড়া জিটিএর বর্তমান সদস্যরা নির্বাচিত নন। কাজেই জিটিএ বেআইনি। জিটিএ পাহাড়াবাসীর চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই জিটিএকে ভেঙে দেওয়া উচিত।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সংসদ সদস্য ছাড়াও বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির সংসদ সদস্য আরও বলেন, বর্তমানে পাহাড়ের গণতন্ত্র বিপন্ন হয়ে রয়েছে। এখানকার বাসিন্দারা অত্যাচারিত হচ্ছেন। এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছি। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই পারেন এখানকার উন্নয়ন করতে। এখানকার উন্নয়নের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা প্রয়োজন। এব্যাপারেও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানিয়েছি। পরে বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎবাবুও বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পক্ষে এখানে আমরা দু’বার মিছিল ও মিষ্টি বিলির উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এজন্য পুলিসের কাছে আবেদনও করা হয়েছিল। পুলিস সেই কর্মসূচির জন্য অনুমোদন দেয়নি। কাজেই শুধু পাহাড় নয়, শিলিগুড়ির গণতন্ত্রও বিপন্ন। এভাবে বিজেপিকে তৃণমূল রুখতে পারবে না।
বিজেপি নেতা ও সংসদ সদস্যের বক্তব্য নিয়ে তৃণমূলের জেলা নেতারা অবশ্য কোনও প্রক্রিয়া দিতে চাননি। তৃণমূলের অধিকাংশ জেলা নেতাই দলীয় কাজে বর্তমানে কলকাতায় রয়েছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, এখন কলকাতায় আছি। এলাকায় ফিরে যা বলার বলব।
অন্যদিকে, গত সোমবার মিরিকে দার্জিলিংয়ের সংসদ সদস্য রাজু বিস্তার গোর্খাদের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পক্ষে সওয়াল করার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মোর্চার অবিভক্ত অংশের সভাপতি বিনয় তামাং। মিরিকে রাজু বিস্তা জানিয়েছিলেন পাহাড় ও দেশের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে থাকা গোর্খাদের সুবিচারের জন্য ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়া খুবই জরুরি। রাজু বিস্তার ওই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে মঙ্গলবার বিনয় তামাং বলেন, রাজু বিস্তা, বিধায়ক নীরজ জিম্বা ও বিমল গুরুংরা পাহাড়ের মানুষের ভাবনাকে নিয়ে ছেলেখেলা করছেন। গোর্খাল্যান্ডের ললিপপ দেখিয়ে পাহাড়বাসীকে ওঁরা বিভ্রান্ত করছেন। এর আগে পাহাড় থেকে বিজেপির দু’জন এমপি সংসদে গিয়েছেন। তাঁরাও এনিয়ে কিছুই করতে পারেননি।