পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিসের সাধারণ সম্পাদক রাজেন্দ্রকুমার বৈদ বলেন, আগেও অনেকে এই আবেগ নিয়ে খেলেছে। এখান থেকে উড়ান পরিষেবা চালু নিয়ে বহুবার টালবাহানা হয়েছে। আমরা চাই কোচবিহার-কলকাতা পরিষেবা চালু হোক। সংসদ সদস্যের উচিত ছিল এব্যাপারে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলা। পাশাপাশি রাজ্য সরকারেও উচিত এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া। কিন্তু কোনও পক্ষই সেভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে না।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের জেলা সভাপতি নারায়ণচন্দ্র বণিক বলেন, কোচবিহার বিমানবন্দরে বিমান নামার পর সকলে ভেবেছিল এবার উড়ান পরিষেবা চালু হবে। কিন্তু বিমান না চলায় অনেকেই ক্ষুব্ধ। কেন্দ্র-রাজ্য পর্যালোচনা করার পরেই বিমান আনা উচিত ছিল। এই সমস্যার জট খুলতেও কেন্দ্র-রাজ্য আলোচনা করা দরকার।
কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক চন্দ্রমোহন সাহা বলেন, রাজ্য সরকার ও যাঁরা বিমান এনেছেন তাঁদের মধ্যে পর্যালোচনার ভিত্তিতে বিমান চালু করা হোক। বিমান চালুর বিষয়ে কী হচ্ছে তা নিয়ে আমরা অন্ধকারে রয়েছি।
কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে না জানিয়ে কেনই বা বিমান নামানো হল আর কেনইবা বিমান উড়ছে না তা যিনি বিমান এনেছেন তিনি বলতে পারবেন। আমরা এই বিষয়ে অন্ধকারে রয়েছি। এই বিষয়ে জানার জন্য মঙ্গলবার সংসদ সদস্য নিশীথবাবুকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, রাজনৈতিক কারণে উড়ান চালুর বিষয়টি আটকে রাখা হয়েছে। এখনও বিমানের পরিষেবার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিমান পরিষেবা চালু হবে বলে সকলের আশা ছিল। কিন্তু সেটা চালু হতে গিয়েও এখনও তা না হওয়াতে কারও ক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে।
কোচবিহার বিমান বন্দরের ডিরেক্টর বিপ্লব মণ্ডল বলেন, আমরা উড়ান প্রসঙ্গে এখনও কোনও সবুজ সংকেত পাইনি। উপর মহল থেকে নির্দেশ এলেই তা কার্যকর করা হবে।
গত ২৭ আগস্ট কোচবিহার বিমানবন্দরে একটি বিমানে চেপে নেমেছিলেন সংসদ সদস্য নিশীথ প্রামাণিক। তিনি ঘোষণা করেছিলেন এখান থেকে বিমান পরিষেবা চালু হবে। একটি বেসরকারি বিমান পরিষেবা সংস্থার মাধ্যমে বিমানটি চালানোর কথা ছিল। এই ঘোষণার পরেই কোচবিহারের বিভিন্ন মহলে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে এখনও ওই পরিষেবাই চালু হল না। এতদিন ধরে বিমানবন্দরে বিমান দাঁড়িয়ে থাকায় ও বিমানের উড়ান নিয়ে জটিলতা না কাটায় এবার নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই মনে করছেন, সংসদ সদস্য যখন বিমান পরিষেবা নিয়ে ঘোষণা করলেন তখন সবদিক আরও ভালোভাবে খতিয়ে দেখে এই ঘোষণা করা উচিত ছিল।