কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
এব্যাপারে মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, এটিএমের গোপন পিন নম্বর সহ তথ্য হাতিয়ে প্রযুক্তির সাহায্যে সর্বস্ব লুটের ঘটনা হামেশাই ঘটে। বিভিন্ন মাধ্যমে এব্যাপারে প্রচার চালানোর ফলে মানুষ কিছুটা সচেতন হয়েছে। এদিকে, আধার কার্ডে রেটিনা এবং আঙুলের ছাপ থাকে। বর্তমানে আধারের সঙ্গে প্যান কার্ডের লিঙ্ক করা হয়েছে। ফলে চোখ এবং আঙুলের ছাপ নিয়ে দুষ্কৃতীরা ব্যাংকের তথ্য এবং টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতে পারে। বর্তমানে বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা বিনিময়ের রেওয়াজ বাড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্ষেত্রে একটি লিঙ্ক দেওয়া হয়। ওই লিঙ্ক ডাউনলোড করার জন্য হাতের আঙুল দিয়ে কিছুক্ষণ চাপ দিতে হয়। ওইসময় হাতের আঙুলের ছাপ তথা আধারে থাকা বায়োমেট্রিক তথ্য বেহাত হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় বিভিন্ন লিঙ্ক খোলার শর্ত হিসাবে মুখের ছবি তুলে আপলোড করার শর্ত আরোপ করা হয়। এভাবেও বায়োমেট্রিক তথ্য দুষ্কৃতীদের হাতে চলে যেতে পারে। অন্যদিকে, জেলায় থাকা আন্তর্জাতিক এবং আন্তঃজেলা সীমানা নিয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে যাতে কেউ কোনও নাশকতার ছক কষতে না পারে তারজন্য আমরা সজাগ আছি।
প্রসঙ্গত, সাবেক আমলে চিঠিপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে একে অপরকে শুভেচ্ছা পাঠাত। প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে টেলিফোনের মাধ্যমে শুভেচ্ছা আদানপ্রদান হতে শুরু করে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিজয়ার শুভেচ্ছা থেকে ভ্রাতৃ দ্বিতীয়ার ফোঁটা ও প্রণামের আদান প্রদান হয়। বিষয়টি নিয়ে সাইবার ক্রাইমের ঘটনাও দিনদিন বাড়ছে। ছবি বিকৃত করে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বায়োমেট্রিক তথ্য চুরির ঘটনাও ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে সকলের সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।
এদিকে পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গিদের নিয়ে সরকার বিশেষ ভাবে সতর্ক রয়েছে। দেশ তথা রাজ্যের নিরাপত্তার দিক দিয়ে মালদহ বরাবর স্পর্শকাতর জেলা হিসাবে স্থান পেয়েছে। জাল নোট, সোনা, গোরু পাচারের মতো ঘটনা হামেশাই ঘটে। পাক জঙ্গিরা নেপাল এবং বাংলাদেশ হয়ে এরাজ্যে ঢোকে বলে বিভিন্ন সময় গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে। সামান্য ঘটনায় থানায় ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ওইসব ঘটনার পিছনে দাগি দুষ্কৃতী এবং জঙ্গিদের হাত থাকে বলে অভিযোগ। ফলে এজেলা সবসময় গোয়েন্দাদের নজরে থাকে। জেলা প্রশাসন এবং পুলিসের তরফেও সারা বছর সক্রিয়তা চোখে পড়ে।