বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্কুলের টিআইসি অমৃতকুমার ঘোষ বলেন, স্থানীয় পুরসভার চেয়ারম্যান এবং প্রশাসনের সক্রিয় সহযোগিতায় স্কুলের পঠনপাঠনের পরিবেশ স্বাভাবিক হয়েছে। এদিন সমস্ত ক্লাসেই পঠনপাঠন সুষ্ঠুভাবে হয়। স্কুল খোলার সময়ে সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। যদিও পরে কোনও অশান্তি হয়নি। আমরা আগামী দিনের স্কুল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করব। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে আমরা শিক্ষাদপ্তরের চিঠি পাঠাচ্ছি।
পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিকবাবু বলেন, স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের সঙ্গে নিয়ে এদিন স্কুলের মূল দরজা নির্ধারিত সময়ে খুলে দেওয়া হয়। স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা, পড়ুয়াদের ভিতরে যেতে কোনও অসুবিধা হয়নি। আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্কুলে পঠনপাঠনের সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি। কিছুদিন ধরে এখানে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এতে পড়ুয়াদের প্রচুর ক্ষতি হয়। তাতে স্কুলের সুনাম নষ্ট হয়। শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষানুরাগী সহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পঠনপাঠনের পরিবেশ স্বাভাবিক করা গিয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিসকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
স্থানীয় বিধায়ক কংগ্রেসের ভূপেন্দ্র হালদার বলেন, স্কুল বন্ধ রাখাটা উচিত নয়। স্কুলে পঠনপাঠনের পরিবেশ স্বাভাবিক হয়েছে, এটা ভালো কথা। তবে অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিস কেন খুঁজে বের করতে পারছে না সেটা বুঝতে পারছি না। তাকে খুঁজে পুলিস আইনগত ব্যবস্থা নিক। প্রযোজনে আমরা পুলিসের সঙ্গে কথা বলব।
মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক এখনও ফেরার রয়েছে। আমরা তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছি। এদিন স্কুলে কড়া পুলিস প্রহরা ছিল। তাতে কোনওরকম অশান্তি হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে জি কে হাইস্কুলের দোতলার ক্লাসঘরে এক শিক্ষক সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে শিক্ষকের বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি স্কুলেও বিক্ষোভ ভাঙচুর হয়। এমনকী স্কুলের শিক্ষকদের নিগ্রহের মতো ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই স্কুলে অচলাবস্থা শুরু হয়। শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ নোটিস ঝুলিয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুল বন্ধ করে দেয়। তারপরেই প্রশাসন অচলাবস্থা কাটাতে এদিন সক্রিয় হয়।