পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এনিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, আমরা দ্রুত বৈঠক করে কবে জনতার দরবার করা হবে সেনিয়ে সিদ্ধান্ত নেব। এখনও সেই বৈঠক করা হয়নি। বৈঠক হলেই জনতার দরবারে কর্মসূচির তারিখ ঠিক করা হবে। প্রশাসনের একাধিক বৈঠকে আমরা ব্যস্ত থাকি। সেই কারণে অনেক সময় ফোন তোলা সম্ভব হয় না। এই বিষয় নিয়ে নজর দেওয়া হবে।
জেলাবাসীর নানা সমস্যা থাকে। অনেক অভিযোগও থাকে। অনেকে জেলাশাসকের কাছে লিখিত আকারের সেই সমস্যার কথা জানিয়ে অভিযোগ জমা করেন। তবে অভিযোগকারীদের অনেকের দাবি, সেই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হয় না। সেগুলি দিনের পর দিন জেলাশাসকের অফিসে পড়ে থাকে। এনিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেক জেলার জেলাশাসককে নির্দেশ দেন যাতে জেলাবাসীর সমস্যা তাঁরা নিজেরা শুনে সেগুলি সমাধানের উদ্যোগ নেবেন। এজন্য জনতার দরবার নামে অনুষ্ঠানের করতেও জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন তিনি। ইতিমধ্যে একাধিক জেলার জেলাশাসকরা জনতার দরবারের বসে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনে সেগুলি সমাধান করবার উদ্যোগী হয়েছেন। তবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এমন কোনও কর্মসূচির এখনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। এনিয়ে বিভিন্ন মহল ইতিমধ্যেই সরব হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনিক ভবনে সরকারি কাজে আসা জেলাবাসীর অভিযোগ, জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসকের পাশাপাশি জেলার অধিকাংশ আধিকারিক, বিডিও’র কাছে সমস্যা নিয়ে যাওয়া হলে তাঁরা দেখা করতে চান না। একই ভাবে ফোন করলেও তাঁরা কারও ফোন ধরেন না। মোবাইল ফোন বা ল্যান্ড ফোন কোনও ফোনেই সাড়া মেলে না। এনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ জমেছে। অনেকের দাবি একে তো সঠিক সময়ে প্রশাসনিক ভবনে আধিকারিকদের অধিকাংশ হাজিরা দেন না। অন্য দিকে সাধারণ মানুষদের সঠিক পরিষেবাটুকু জেলার আধিকারিকদের তরফে দেওয়া হয় না। এমনটা চলতে থাকলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন পথে নামার কথাবও অনেকে বলছেন। বিজেপি’র জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, জেলাশাসক তো নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন মনে হয়। তাঁর দেখাই পাওয়া যায় না। মানুষের কথা কী শুনবেন, জেলায় কোনও উন্নয়নই তিনি করতে পারেননি। আমরা এনিয়ে রাস্তায় নামব। এদিকে এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খোঁজ নিচ্ছি।