পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
একদিন আগে ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি এলাকা থেকে ওয়াংডুকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের নির্দেশে ধৃত চীনা নাগরিক খড়িবাড়ি থানার পুলিস হেফাজতে রয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ ঘণ্টা ধরে ধৃতকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে থানায় গিয়ে ধৃতকে শিলিগুড়ি পুলিসের শীর্ষ কর্তারা, মহকুমা পুলিসের গোয়েন্দা শাখা, সিআইডি, আইবি, মিলিটারি গোয়েন্দা সহ বিভিন্ন গোয়েন্দাদের বিভিন্ন সংস্থা ধৃতকে জেরা করেছে। কিন্তু, কোনও সংস্থাই ধৃতের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি। শিলিগুড়িতে আসার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করতেই ধৃত চিনা ভাষায় কী বলছেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না গোয়েন্দারা। তাঁরা ধৃতকে নিয়ে কার্যত ফাঁপড়ে পড়েছেন। স্বাভাবিকভাবে তদন্তের কাজের তেমন কিছু এগয়নি।
পুলিস ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার অফিসারদের একাংশ বলেন, বাংলা তো দূরের কথা হিন্দি ও নেপালি কোনও ভাষাতেই কথা বলছেন না। তিনি ইংরেজিও তেমন বলতে পারছে না। কখনও জোরে, আবার কখনও আস্তে চীনা ভাষায় কী বলছেন তা বোঝা যাচ্ছে না। মাঝেমধ্যে কিছু প্রশ্ন করলেই তিনি শুধু ঘাড় নাড়ছেন। তাই এবার ধৃতকে জেরা করতে দোভাষী ব্যবহার করার কথা ভাবা হচ্ছে। চীনা ভাষা সম্পর্কে অবহিত এমন দোভাষীর খোঁজ চলছে। পাশাপাশি, চীনা ও তিব্বতী ভাষা জানা গোয়েন্দা অফিসারকেই আনা হচ্ছে। তাঁদের মাধ্যমে আজ, নতুন ভাবে ধৃতকে জেরা করা হবে।
তবে, ধৃত চীনা যুবক দীর্ঘদিন দার্জিলিং জেলার মিরিকে ঘাঁটি গেড়ে ছিলেন বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, আধো আধো ইংরেজিতে তিনি জানিয়েছেন, অনেকদিন ধরে মিরিকে ছিলেন। কার বাড়িতে ছিলেন, কী করতেন, সচিত্র ভোটারকার্ড ও আধারকার্ড কীভাবে জোগাড় করলেন, সেসব বিষয়ে ধৃত চীনা যুবকের কাছ থেকে কিছু তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে, অসাধু কোনও ব্যবসা বা অন্য কোনও অসৎ উদ্দেশে তিনি এখানে ছিলেন বলে মনে হচ্ছে। সম্ভবত তিনি নেপাল হয়ে এপারে এসেছিলেন। এখানকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলি তিনি ঘুরে দেখেছেন। এবার চীনে পাড়ি দিচ্ছিলেন বলে মনে হচ্ছে। পুলিসের এক অফিসার বলেন, বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতের মিরিকের ঠিকানাতেও যোগাযোগ করা হবে। তবে, আদালত ধৃতকে ১০ দিন পুলিসি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কাজেই তদন্ত চালানোর মতো যথেষ্ট সময় রয়েছে। প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে পানিট্যাঙ্কি এলাকা থেকে ওয়াংডুকে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেয় এসএসবি। ধৃতের কাছ থেকে ভারতীয় ও বিদেশি মুদ্রা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।