পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা মেনকা দাস বলেন, আমি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বৃষ্টিতে আমার কাঁচাঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি পুরসভায় গিয়ে পলিথিন চেয়ে আবেদন করি। মঙ্গলবার জানতে পারি পুরসভার ত্রাণ ভর্তি গোডাউনে তালা মেরে দেওয়া হয়েছে। একদিকে প্রবল বৃষ্টি, অন্যদিকে পুনর্ভবা নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় আমরা আতঙ্কে রয়েছি।
গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্তবাবু বলেন, দুর্গত মানুষ যাতে ত্রাণ না পায় সেজন্য পরিকল্পিতভাবে প্রশাসনকে কাজে লগিয়ে আড়ালে থেকে কেউ এসব ষড়যন্ত্র করছে। কারণ এই সময়ে ত্রাণ না পেলে তার দায়ভার সরাসরি আমার ঘাড়ে আসবে। প্রশাসনের লোকজন এদিন পুরসভার ত্রাণ সামগ্রী ভর্তি গোডাউন সিল করেছে। তারা এই ব্যাপারে কোনও নির্দেশপত্র প্রথমে দেখাতে পারেননি। জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। এমন অবস্থায় দুর্গতরা ত্রাণ না পেলে তার দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে। কারা এই ষড়যন্ত্রের পেছনে আছে আমি তাঁদের খুঁজে বের করব।
গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক দেবাঞ্জন রায় বলেন, আমাদের কাছে গঙ্গারামপুর পুরসভায় ত্রাণ বিলি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ আসে। এরপরেই আমি বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনকে জানাই। তদন্তের জন্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ত্রাণদপ্তর গঙ্গারামপুর পুরসভার ত্রাণ সামগ্রী রাখা গোডাউন সিল করার নির্দেশ দেয়। ত্রাণ নিয়ে দুর্গতদের কোনও অসুবিধে হবে না। গঙ্গারামপুর পুরসভা বা গঙ্গারামপুর মহকুমা ত্রাণদপ্তরে কেউ আবেদন করলে আমরা অনুসন্ধান করে সাধারণ মানুষকে ত্রাণ দেব।
পুরসভার চেয়ারম্যানের ত্রাণ বিলি করার ক্ষমতা প্রশাসন আটকে দেওয়ায় বিভিন্ন মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে বাসিন্দারাও চিন্তায় পড়েছেন। কোথায় গিয়ে আবেদন করতে হবে, কোথায় গেলে ত্রাণ মিলবে সেনিয়ে দুর্গতরা ভাবছেন। সম্প্রতি পুনর্ভবা নদীর জল ঢুকে পুরসভার দু’টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়। এমন অবস্থায় ত্রাণের জন্য অনেকেই পুরসভায় আবেদন করেছেন।