সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড়ের সেতুটি এতটাই বেহাল হয়ে পড়েছে যেকারণে সেখানে প্রতিদিন ব্যাপক যানজট হচ্ছে। ওই রাস্তা ধরে শহরে ঢুকতে সেভাবে কোনও সমস্যা না থাকলেও শহর থেকে দার্জিলিং মোড় হয়ে মাটিগাড়ার দিকে যেতেই গাড়ি চালকরা নাজোহাল হচ্ছেন। দু’টি রাস্তা ওই জায়গায় মিলেছে। শহর থেকে আসা হিলকার্ট রোডটি জাতীয় সড়ক ধরে দার্জিলিং মোড়ে যাওয়ার মুখেই একটি ট্রাফিক সিগন্যাল রয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় সড়ক থেকে দার্জিলিং মোড়ের সেতুতে ওঠার আগে অন্য একটি ট্রাফিক সিগন্যাল আছে। সংকীর্ণ সেতুতে ওঠার মুখেই ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। একদিকে সিগন্যাল সবুজ হলে অন্যদিকের লাল সিগন্যাল হয়ে যায়। ওই লাল সিগন্যাল সুবজ হতেই ২০ মিনিট লেগে যায়। যেকারণে হিলকার্ট রোডের যানবাহন জংশন পর্যন্ত পৌঁছে যায়। অন্যদিকে জাতীয় সড়কের দিকে যানবাহন প্রায় দুই-আড়াই কিমি দূরে চম্পাসারির শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউস পর্যন্ত হয়ে যায়। যাতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। বিকল্প পথ বাছতে অনেকেই এদিন জংশন হয়ে রেলের উড়ালপুল দিয়ে ওল্ড মাটিগাড়া রোড ধরে মাটিগাড়া পৌঁছন। কিন্তু ওই রাস্তাতে এদিন যানজট হয়। শিলিগুড়ি শহর থেকে পশ্চিম দিকে বাইরে যেতে গিয়ে এদিন মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
সমস্যা সমাধানে রুট ডাইভার্সনের চিন্তা ভাবানা করেছে পুলিস। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের কমিশনার ত্রিপুরারি অর্থব বলেন, আমরা সবদিক খতিয়ে দেখছি। শহরকে যানজট মুক্ত করতে শীঘ্রই পদক্ষেপ করব।
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার প্রবীর মণ্ডল বলেন, গত বৃহস্পতিবার রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আলোচনার পর মেরামত করা হয়। ফের বৃষ্টিতে পিচ উঠে গিয়ে গর্ত বেরিয়ে এসেছে।
সংকীর্ণ সেতু দিয়ে পণ্যবাহী লরি, বাস চলাচল করে। দিনেরবেলায় ভারী যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হলেও রাত ৯টার পর ওই সংকীর্ণ ভাঙা সেতুর উপর দিয়েই ১৪ চাকা, ১৮ চাকার লরি যায়। ওই সেতুর ভাঙা অংশে টোটো, সিটি অটোর চাকা ফেঁসে গেলে যানজট আরও বাড়ে।