কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন কলেজে মোড়ে ট্রাফিক নিয়ম না মেনে নিজেদের মতো রুট করে টোটো চালালে একাধিক দিক থেকে আসা টোটোগুলি জট পাকিয়ে ফেলে। ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ৩১ মে মধ্যে সমস্ত টোটো তুলে নিয়ে ই-রিকশ চালানো দাবি প্রশাসনের তরফে করা হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয় নি। বালুরঘাট পুরসভার প্রশাসক তথা মহকুমা শাসক ঈশা মুখোপাধ্যায় বলেন, টোটোর বিষয় পুরোটাই জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তর দেখে। আমাদের তরফে নতুন করে কোনও লাইন্সেস দেওয়া হচ্ছে না। এই নিয়ে জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক আশিস কুণ্ডুকে ফোন করা হলে তাঁর মোবাইল বন্ধ ছিল। দপ্তরে গেলেও এদিন তাঁকে পাওয়া যায়নি।
ছোট্ট শহর বালুরঘাটে চার হাজারের বেশি টোটো চলাচল করে। তার মধ্যে অধিকাংশ টোটোর কোনও টিন নম্বর নেই। বে-আইনি ভাবে সেগুলি যাতায়াত করে। এরমধ্যে জেলাজুড়ে নিত্যদিন টোটোর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। টোটোর দৌরাত্ম্যে শহরে যানজট ক্রমশ বেড়ে চলেছে। মাঝেমধ্যে পথ চলতি মানুষ দুর্ঘটনাতেও পড়ে। সম্প্রতি জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তর নির্দেশ জারি করে সমস্ত টিন নম্বর যুক্ত টোটো তুলে নিয়ে ই-রিকশ চালু করতে হবে। জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের অধীনে ই-রিকশগুলির লাইন্সেস প্রদান করা হবে। ৩১ মে মধ্যে যে সমস্ত টোটো টিন নম্বর পেয়েছে সেগুলিকে স্থানীয় ই-রিকশ ডিলারদের কাছে বদল করে নিতে হবে। তার জন্য কিছু টাকা প্রদান করতে হবে টোটো মালিকদের। টিন নম্বর যুক্ত টোটোই শুধুমাত্র লাইন্সেস পাবে। তবে বাকি টিন নম্বরবিহীন টোটোকে নতুন করে লাইন্সেস দেওয়া হবে না। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করে দেওয়া হবে। ঘোষণায় পরে দুই মাস কেটে গেলেও কোনও পদক্ষেপ আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের তরফে নেওয়া হয়নি। স্বাভাবিক ভাবে শহরে দিনের পর দিন টোটো বেড়ে যাওয়ায় কারণ হিসেবে জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরকেই দায়ী করছেন শহরবাসী।