রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সিপিএমের প্রদীপ কুমার দে বলেন, জলনিকাশি ব্যবস্থার কোনও মাস্টারপ্ল্যান পুরসভার নেই। তাই বৃষ্টি হলেই অধিকাংশ ওয়ার্ডে জল জমে যায়। দ্রুত নিকাশি ব্যবস্থার মাস্টারপ্ল্যানের জন্য আমরা আন্দোলনে নামব। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়্যারমান মোহন বোস বলেন, শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকই আছে। বৃষ্টির জল জমার জন্যই সমস্যা হয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধীরা রাজনীতি করছে। দাসপাড়ার চাষি বেণু দত্ত বলেন, তিস্তা ক্যানেলের বাঁধ ভেঙে আমার তিন বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়েছে। জমির উপর বালির আস্তরণ পড়েছে। জমি পুনরায় চাষ যোগ্য করতে সমস্যায় পড়তে হবে। জলপাইগুড়ি সদর বিডিও তাপসি সাহা বলেন, বিষয়টি সর্ম্পকে খোঁজখবর নিচ্ছি।
জলপাইগুড়ি শহরের প্রধান নিকাশি হল তিস্তা নদী। শহরের জল নিকাশি নালা দিয়ে তিস্তায় গিয়ে পড়ে। কিন্তু জলপাইগুড়ি শহর নীচু হওয়ায় বর্ষাকালে শহরের জল তিস্তায় গিয়ে পড়তে পারে না। অনেক সময় উল্টে তিস্তার জলই শহরে ঢুকে পড়ে। তাই শহরকে বন্যার হাত থেকে বাঁচাতে বাঁধ তৈরি করা হয়। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের জল তিস্তায় পড়ার জন্য অপরিকল্পিতভাবে কিছু নালা তৈরি করা হয়েছে। শহরের মূল নালা গুলিও ঠিকমতো কাজ করছে না বলে বিরোধীদের অভিযোগ। তাঁদের দাবি, তিস্তার মতো ভয়াল নদীর পাশে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা উন্নতির জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা প্রয়োজন। কিন্তু পুরসভা এনিয়ে উদ্যোগী না হওয়ায় প্রতিবছরই বাসিন্দাদের ভুগতে হচ্ছে। তাই একটু বৃষ্টিতেই নীচু জায়গাগুলিতে জল জমে যাচ্ছে। এদিনের বৃষ্টিতে কদমতলা মোড়, রেসকোর্স রোড, হাসপাতালপাড়া, পাণ্ডাপাড়া, শান্তিপাড়া সহ একাধিক জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। যদিও পুরসভার দাবি, নিকাশি নালাগুলি পরিষ্কার করা হয়েছে। বৃষ্টির জল দ্রুত তিস্তায় গিয়ে পড়বে। সমস্ত রকম পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরসভা তৈরি রয়েছে। অন্যদিকে মোহিত নগরের দাসপাড়ায় বাঁধ ভেঙে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাধের মাটি পড়ে চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়েছে অনেক জমিই। ধানের উপর মাটি পড়ায় অনেকটা ধান নষ্ট হয়ে গেছে। খরিয়া এলাকাতেও তিস্তা ক্যানেলে বাঁধে ফাটল দেখা দিলে প্রশাসনের উদ্যোগে তা মেরামত করা হয়।