পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এবিষয়ে মালদহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তাপস কুমার বিশ্বাস বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্কুল খোলার চেষ্টা হচ্ছে। এনিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামী দিনে স্কুল পরিচালন সমিতির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে স্কুলের অচলাবস্থা কাটার ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে। আমরা বিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। স্থানীয় বিধায়ক কংগ্রেসের ভূপেন্দ্রনাথ হালদার (অর্জুন) বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে কোনওভাবে সমর্থন করা যাবে না। তিনি দোষী হলে তাঁর অবশ্যই শাস্তি হওয়ায় উচিত। তবে হঠাৎ করে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায় না। শিক্ষকদের মারধরের বিষয়টি আমাদের দেখা উচিত। এভাবে চললে স্কুলের অচলাবস্থা কাটবে না। এনিয়ে প্রশাসনকে কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলম বলেন, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী শিক্ষক শিক্ষিকা এবং বিদ্যালয় ভবনে নিরাপত্তার স্বার্থে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না পেলে আমরা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছি না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে। মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক এখনও ফেরার রয়েছে। স্কুল গেটে তালা থাকায় ছাত্ররা সাময়িকভাবে জমায়েত করেছিল, কোনও বিক্ষোভ হয়নি। পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের কার্তিক ঘোষ বলেন, স্কুলের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তা নষ্ট করার জন্য একটা ঘৃণ্য চক্রান্ত হচ্ছে। আমরা সকল শিক্ষা অনুরাগী, সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে বসে একটা আলোচনার মাধ্যমে সুস্থ পরিবেশ ফেরানোর চেষ্টা করব।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার স্কুলের দোতলার একটি শ্রেণীকক্ষে এক শিক্ষক সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে যৌন নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ। ঘটনা ঘিরে একাধিকবার স্কুলে আন্দোলন হয়েছে। পড়ুয়ারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি গিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে। গত শনিবার শিক্ষকের শাস্তির দাবি তুলে পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের একাংশ প্রধান শিক্ষকের ঘরে চড়াও হয়। সেসময় শিক্ষকদের নিগ্রহ এবং ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। সহকারী প্রধান শিক্ষককে খুনের হুমকি সহ এক শিক্ষককে রাস্তায় টেনে বের করে মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হয়। এনিয়ে শিক্ষকরা নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগ তুলে এদিন স্কুলের প্রধান গেটে নোটিস ঝুলিয়ে দিয়ে তালা মেরে দেন। এদিন স্কুলের সময়ে পড়ুয়ারা এলেও তালা ঝোলানো থাকায় ছাত্রছাত্রীরা বাইরে দাঁড়িয়েই বিক্ষোভ দেখায়। স্কুলে টানা এক সপ্তাহ ধরে ক্ষোভ বিক্ষোভ চালায় পঠনপাঠন এমনিতেই লাটে উঠেছে। এক সপ্তাহ ধরেই ঠিকমতো পঠনপাঠন হচ্ছে না। আগস্টের শেষের দিকে দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট পরীক্ষা রয়েছে। স্কুলে এরকম অচলাবস্থা চলতে থাকলে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে শিক্ষানুরাগীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাই শিক্ষানুরাগীরা অবিলম্বে স্কুলে পঠনপাঠনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন।