বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সেচদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে ২৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেচদপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নীরজ সিং বলেন, কালজানি নদীর জল বাড়েনি। তাই কালজানি বাঁধের স্লুইস গেট বন্ধ রাখার প্রশ্নই উঠে না। শহরের জমা জল কেন সরছে না কেন সেটা পুরসভা বলতে পারবে।
পুরসভার প্রশাসক তথা আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক কৃষ্ণাভ ঘোষ স্লুইস গেট বন্ধ রাখার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশার অভিযোগ ঠিক নয়। বৃষ্টি হলে জল তো জমবেই। তাছাড়া জমা জল বের করে দিতে পাঁচটি পাম্প কাজে লাগানো হয়েছে। দুর্গতদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।
প্রশাসনের এই চাপানউতোরে শহরের জলবন্দিদের অবশ্য দাবি, রাতে সেচদপ্তর স্লুইস গেট বন্ধ রেখেছিল। তার জেরেই জল সরছে না। রবিবার রাতভর এবং সোমবার সকালে ভারী বৃষ্টির জেরে শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ডই জলমগ্ন হয়ে যায়। শহরের নিকাশি নালাগুলি বেহাল হয়ে পড়ায় শহরের জমা জল নামতে দেরি হচ্ছে। তবে সোমবার বেলার দিকে অধিকাংশ ওয়ার্ড থেকেই জল অনেকটাই নেমে যায়।
রাতভর বৃষ্টিতে ১ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দনগর, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চৌত্রিশ প্লট, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রেললাইনের পাড়, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দনগর, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পিলখানা, বেলতলা, হঠাৎকলোনি, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগরপল্লি ও বিধানপল্লিতে জল জমে যায়। একইভাবে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের স্টেশনপাড়া ও বাবুপাড়াতেও রাতভরের বৃষ্টিতে হাঁটুসমান জল দাঁড়িয়ে যায়। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাজারে প্রায় হাঁটু সমান জল দুপুর পর্যন্ত ছিল। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সঞ্জয়কলোনি, প্রমোদনগর, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বীপচর ও মনোজিৎ নাগ বাস টার্মিনাস চত্বর বৃষ্টির জলে এদিন প্লাবিত হয়।
তবে সোমবার বিকেলের দিকে অধিকাংশ ওয়ার্ড থেকেই জল সরে যায়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবারের বৃষ্টিতে শহরের হাজার দশেক মানুষ জলবন্দি হন।