বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভা সভাপতি নির্মল দাম বলেন, দলের প্রথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। এখন দলের নির্দেশে এক সপ্তাহ ব্যাপী বিস্তারক যোজনা কর্মসূচি চলবে। দলের জেলা থেকে বুথের পদাধিকারীরা সাত দিন অন্য এলাকায় গিয়ে দলের সদস্য সংগ্রহ করবেন। এই কয়েকদিন তাঁরা বাডির বাইরে থাকবেন। প্রত্যেক প্রতিনিধিকে দৈনিক ৫০ জনের হিসেবে সাত দিনে মোট ৩৫০ জন সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। এই লক্ষ্য পূরণ না করতে পারলে পদ খোয়াতে হবে। আমাকেও এই লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। প্রায় ৯০০ জন পদাধিকারী বিস্তারক হিসেবে মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করবেন। জেলায় চার লক্ষ সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৬ হাজার সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। বিস্তারক যোজনায় সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি পাবে। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, বিস্তারক যোজনা গত বছরও হয়েছিল। কিন্তু সেসময় বুথ গঠন করা হয়েছে। এবারই প্রথম বিস্তারক যোজনার মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পক্ষকাল ব্যাপী শ্যামাপ্রসদ মুখপাধ্যায়ের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সদস্য সংগ্রহের পাশাপাশি সেই এলাকায় কর্মীদের নিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়য়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো, আলোচনা সভা করা হবে। সদস্য সংগ্রহের কর্মসূচিকে সামনে রেখে ওই এলাকায় জনসংঘের কর্মীরা কেউ থেকে থাকলে তাঁকে সম্মান জানানো, বৃক্ষরোপন সহ একাধিক কাজ হবে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্তারকেরা যে এলাকায় যাবেন সেখানে সদস্য সংগ্রহের পাশাপাশি কিছু সামাজিক কাজও তাঁদের করতে হবে। প্রত্যেককে সেই এলাকায় বৃক্ষরোপন করতে হবে। জল সংরক্ষণ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে। জনসংযোগ বাড়াতে হবে। কর্মীরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সদস্য সংগ্রহ করছেন। কিন্তু মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে কর্মীরা সম্পূর্ণ সময় সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালাতে পারছেন না। তবে অনলাইনে সদস্য সংগ্রহের কাজ জোরকদমে চলছে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি ভালো ফল করেছে। রায়গঞ্জ আসনে বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী জয়ী হয়েছে। তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় স্থান দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের রায়গঞ্জ কেন্দ্রের মধ্যে করণদিঘি, রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ ও কালিয়াগঞ্জ ব্লকে তারা শাসক দলকে পেছনে ফেলেছে। কিন্তু ইসলামপুর মহকুমায় তারা লিড পায়নি। সদস্য সংগ্রহে এই এলাকায় জোর দেওয়া হয়েছে। এখন তারা ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেকে পাখির চোখ করেছে। এরাজ্যে তারা বেশি সংখ্যক বিধায়ক চাইছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও বাংলার দিকে নজর রেখে চলেছে। তাই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে তারা বিশেষ জোর দিয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে লোকসভা মেরুকরণের ভোট হয়েছে। সেই সঙ্গে মোদি হাওয়া ফ্যাক্টর ছিল। ফলে বিজেপির ঝুলিতে বিপুল ভোট পড়েছে। অনেক বুথে বিজেপির সংগঠন নেই। নির্বাচনের সময় অনেক বুথে তারা এজেন্ট দিতে পারেনি। তারপরেও তারা বিপুল ভোট পেয়েছে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন স্থানীয় ইস্যুতে ভোট হবে। সেক্ষেত্রে দলের বার্তা ভোটারদের কাছে পৌঁছতে মজবুত সংগঠন দরকার। তাই এখন থেকেই বিজেপি এই কর্মসূচির মাধ্যমে সংগঠন মজবুত করতে চাইছে।