সংবাদদাতা, গাজোল: তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত গাজোল পঞ্চায়েত সমিতি নিজেদের অধীনে থাকা সমস্ত দোকানের কর আদায়ের বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে। কারণ ওই পঞ্চায়েতের একাধিক ওষুধের দোকান, ধাবা সহ বহু দোকানের কর বাকি রয়েছে। সেগুলি না মেলায় পঞ্চায়েত সমিতির কাজে অসুবিধা হচ্ছে ও উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। সেজন্য এই পঞ্চায়েত সমিতি কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে। কারও কর বাকি থাকলে নোটিসও পাঠানো হবে।
গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রেজিনা পারভীন বলেন, গাজোল ব্লকের বহু দোকান রয়েছে যারা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ট্রেড লাইসেন্স করে নিচ্ছে ও কর সেখানেই দিচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে ট্রেড লাইসেন্স ও কর আদায়ের ক্ষেত্রে প্রাপ্য পঞ্চায়েত সমিতির। আবার অনেক দোকান আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির কাছে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েও নিয়মিত কর দিতে দেরি করছে। তাই আমরা সমস্ত বিষয় নিয়ে জরুরি আলোচনা করেছি। এবার থেকে কর নেওয়ার জন্য বিষয়টিকে জোর দেওয়া হয়েছে। সবাইকেই সময়মতো কর দিতে হবে। নিয়মিত কর আদায় না হওয়ায় আমাদের ফান্ড বাড়ছে না। এতে ভাঁড়ারে টান পড়ছে। পঞ্চায়েত চালাতে হিমশিম খেতে হয়। কেননা অন্য কোনও ফান্ড থেকে আমাদের কোনও অর্থ ধার্য হয় না। এখান থেকেই সব ব্যয় করা হয়। বিষয়টি সবাইকে ভাবতে হবে। আমরা কিছু দোকানে নোটিস পাঠিয়েছি। আরও দ্রুত পাঠানো হবে। কর সময় মতো জমা করলে পঞ্চায়েত সমিতির আয় বাড়বে। তখন পরিষেবার মান আরও বৃদ্ধি করা যাবে। গাজোল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিজেপি’র কাজল কুণ্ডু বলেন, ওষুধের দোকানের কর পঞ্চায়েত সমিতি পায়। এটা নিয়ম। কিন্ত ওদের তো কর্তব্য রয়েছে কর্মী পাঠিয়ে কর আদায় করা। এটা তারা পালন করে না। এজন্য কর বাকি থেকে যাচ্ছে। এটি তাদের ভুল। নোটিস পাঠানোর আগে কর নেওয়ার জন্য লোক পাঠানো উচিত। কর সকলের দেওয়া উচিত। কংগ্রেসের গাজোল ব্লক সভাপতি সত্য নারায়ণ প্রসাদ বলেন, করের জন্য নোটিশ পাঠাবে ভালো বিষয়। যত কর আদায় হবে তত পঞ্চায়েত সমিতির নিজস্ব আয় হবে। কিন্ত যাঁরা কর দেয় তাঁদের তো কোনও সুবিধা এই পঞ্চায়েত সমিতি করতে পারছে না। নাগরিকদের ও ব্যবসায়ীরাদের পরিষেবা দিতে তারা ব্যর্থ হচ্ছে। গাজোল ব্লক সদরে যত দোকান আছে, বৃষ্টি হলে তাঁদের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। দোকানে জল ঢুকে যায়। কর নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এগুলি বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।
গাজোল ব্লকে ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের অধীনে থাকা অধিকাংশ দোকানগুলি কর দেয় না। অনেকে কর দিতে অযথা দেরি করে। আবার মিল সহ বহু দোকান সময় মতো কর দেয়। তবে বেশকিছু ওষুধের দোকানের ট্রেড লাইসেন্স পঞ্চায়েত দিচ্ছে। এটা নিয়ম বহির্ভুত বলে অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চায়েত সমিতি তাদের কাছে কর চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে।