বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, নেত্রী সম্প্রতি মিটিং ডেকেছিলেন। তাতে আমি অংশ নিই। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রতিটি ব্লকে একজন করে পর্যবেক্ষক পদ দেওয়া হবে। তারপরে সমস্ত ব্লকের কমিটি ভাঙা হবে। পরে পর্যবেক্ষকের মাধ্যমে বৈঠক ডেকে পর্যালোচনা করে নতুন করে ব্লক কমিটি গঠন করা হবে।
জেলার রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে, লোকসভা নির্বাচনে মোদি হাওয়াতে রাজ্যে তৃণমূল শিবির বিপর্যস্ত হয়েছে। এখন থেকেই এই বিপর্যয়ের মোকাবিলা করার কৌশল না নিলে ২০২১ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে দলেকে আরও বড় বিপর্যয়ের সামনে পড়তে হতে পারে। তাই দলনেত্রী নিজেই বিভিন্ন জেলায় সভাপতি পদে বদল করে দিয়েছেন। কানাইয়ালালবাবুও সেই তালিকার ছিলেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে কানাইয়ালাল আগরওয়াল দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। জেলার রাজনীতি সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা প্রচুর। ভালো সংগঠক এবং দলের নিচুতলা থেকে উপরতলা পর্যন্ত প্রতিটি নেতাকর্মীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। লোকসভা ভোটে তাঁর পরাজয়ের কারণ ইতিমধ্যেই বুঝতে পেরেছেন কানাইয়ালালবাবু। দলের গোষ্ঠীকোন্দল, রাজনীতিতে মেরুকরণ ও নিচুতলায় সংগঠনের দুর্বলতার কারণেই তাঁর হার হয়। তাই বুথস্তর থেকে সংগঠনকে মজবুত করতে তিনি নতুন করে ব্লক কমিটিগুলিকে তৈরি করাতে চাইছেন।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, এতদিন জেলার রাজনীতি রায়গঞ্জ থেকে নিয়ন্ত্রণ হয়ে আসছিল। অতীতে বেশিরভাগ সময় রায়গঞ্জ মহকুমা এলাকা থেকেই জেলার সভাপতি হয়েছিল। দলের জন্মলগ্নে ইসলামপুরের আব্দুল করিম চৌধুরী সভাপতি ছিলেন। তারপরে এবার আবার ইসলামপুর থেকে জেলার সংগঠনের সর্বোচ্চ পদ একজনকে দেওয়া হল।