কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এব্যাপারে মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, কার্তিকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তের স্ত্রী’র পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারাও পুলিসকে একথা জানিয়েছেন। তবে তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আপাতত একটা মামলা রুজু করে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক। পুলিস তার খোঁজ শুরু করেছে। দ্রুত সে গ্রেপ্তার হবে বলে আমরা আশাবাদী।
পুলিস এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১১ বছর আগে হাতিডুবির বাসিন্দা কার্তিকের সঙ্গে লক্ষ্মীদেবীর বিয়ে হয়। বর্তমানে ওই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। কার্তিক চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই সে নেশা করত বলে লক্ষ্মীদেবী জানিয়েছেন। সম্প্রতি এক মহিলার সঙ্গে কার্তিক অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল বলে তার স্ত্রী’র অভিযোগ। ফলে দাম্পত্য সম্পর্কে দু’জনের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে কার্তিকের নেশা করার প্রবণতাও আগের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মাঝেমধ্যেই সে স্ত্রীকে মারধর করত বলে অভিযোগ। রবিবার ভোরে লক্ষ্মীদেবীর উপর কার্তিক চড়াও হয়। অভিযোগ, একটি হাঁসুয়া দিয়ে কার্তিক তাঁকে কোপাতে শুরু করে বলে অভিযোগ। চিৎকার চেঁচামেচিতে ছেলেমেয়েরা জেগে যাওয়ায় কার্তিক পালিয়ে যায়। জখম বধূকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। তাঁর দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ব্যান্ডেজ করতে হয়। দুই হাতের একাধিক আঙুলেই গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এদিন হাসপাতালে লক্ষ্মীদেবী বলেন, চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ইদানিং স্বামীর কাজে যাওয়ার প্রবণতা কমে গিয়েছিল। সে দিনের বেশিরভাগ সময় নেশা করে থাকত। অন্য এক মহিলার সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তারফলে প্রায়ই আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিত। নতুন করে সংসার পাতার কথাও মাঝেমধ্যে বলত। মদ্যপ অবস্থায় প্রায়শ আমাকে মারধর করত। রবিবার ভোরে ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘুমাচ্ছিলাম। ঘুমন্ত অবস্থায় একটি হাঁসুয়া নিয়ে কার্তিক আমার উপরে চড়াও হয়। চুলের মুঠি ধরে আমার ঘাড়ে কোপ মারার চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে আমার দুই হাত গুরুতর জখম হয়। আমাকে গলা কেটে খুনের পরিকল্পনা ছিল। তার আগে গভীর রাতে বাড়ির উঠানে একটি গর্ত খুঁড়ে রেখেছিল। খুনের পর ওই গর্তে দেহ পুঁতে প্রমাণ লোপাটের পরিকল্পনা ছিল স্বামীর। ছেলেমেয়েরা ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি শুরু করায় প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। ওইসময় বেগতিক বুঝে কার্তিক চম্পট দেয়।
লক্ষ্মীদেবীর ভাই শিবু মণ্ডল বলেন, এদিন হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর দিদিকে নিয়ে মালদহ থানায় অভিযোগ জানানো হয়। আমরা জামাইবাবুর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছি।