কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চোরাচালানের সময় ছোট বা মাঝারি মাপের গোরুকে ওই চট বা ত্রিপলের উপর হাঁটিয়ে জলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। স্রোত বেয়ে গোরু ওপারে পৌঁছে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিসের এক কর্তা অবশ্য দাবি করেন, মহানন্দায় জল বাড়লেও এখনও গোরুপাচার শুরু হয়নি। আমরা পাচার নিয়ে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছি। পাচারকারীদের কিছু পুরনো কৌশল রয়েছে, সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, পাচার নিয়ে আমার কাছে কোনও খবর আসেনি। আমরা পাচার রুখে দিতে তৎপর রয়েছি।
বর্ষার মরশুমে মহানন্দার জলের স্তর বাড়লে প্রতিবছরই মালদহের হবিবপুর এবং পুরাতন মালদহের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে গোরু পাচার হয়। প্রতিবছর নদীতে জল বৃদ্ধির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চোরাকারবারীরা চোরাচালানে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এবারও হু হু করে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় নদীর স্রোতকে কাজে লাগিয়ে এপার ওপার বাংলার পাচারকারীরা গোরু পাচারে তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে তারা কিছু যুবককে নদীপথে গোরু পাচারের কাজে লাগাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে চোরাচালানে কিছু অগ্রিম দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পাচারের ভাবনার বদল আনা হচ্ছে। তার জন্য সুকৌশলে পুলিস বিএসএফের নজর ঘোরাতে যাতে নদীর ঘাটে অনায়াসে গোরু পার করা যায় সেজন্য পাচার পথে রোড থেকে নদীঘাট পর্যন্ত ত্রিপল বা মোটা চট জাতীয় কাপড় বিছিয়ে দেওয়া হয়। চোরাচালানের পথে গোরুর পায়ের ছাপ যাতে কাদা বা কাঁচা রাস্তায় না পড়ে সেকারণে বিশেষ এপরিকল্পনা এবছর পাচারকারীরা নিয়েছে। গত কয়েক বছরে পাচারকারীরা একসঙ্গে অনেকগুলি নদীর ঘাটে গোরু নামিয়ে দিয়ে পাচার করায় ঘাটগুলিতে গোরুর পায়ের একাধিক ছাপ দেখে চোরাচালানের অস্তিত্ব টের পায় পুলিস ও বিএসএফ। তার মোকাবিলায় চোরাচালানকারীরা এধরনের কাজ করতে চাইছে। এভাবে রাস্তা বা জমি দিয়ে গোরুর পালকে হাঁটিয়ে এনে নদীর কাছে নিয়ে জড়ো করা হয়। সেখানে নির্দিষ্ট মাপে কলার ভেলা সাজিয়ে তার সঙ্গে গোরুর পা বেঁধে দেওয়া হয়। তারপর নদীর স্রোত বুঝে গোরুর পাল ছেড়ে দেওয়া হয়। ভেলা ভাসতে ভাসতে ওপারে বাংলাদেশ সীমানায় গিয়ে ঠেকে। ওপার বাংলার চোরাচালানকারীদের কাছে আগেই খবর পাঠানো থাকে। সেইমতো তারা নদীতে থেকে কলার ভেলা সহ গোরুকে তুলে নিয়ে যায়। এভাবে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে আন্তর্জাতিকভাবে গোরুর চোরাচালান হয়।