বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভাইরাল সিজন চলছে। এজন্য জ্বর দেখা দিচ্ছে। ৩০ জন রোগী জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ডায়ারিয়ার কোনও রোগী এখনও আসেনি। তবে তার মোকাবিলায় সমস্ত রকম প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। মানিকচকের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক হেম নারায়ন ঝা বলেন, তিন জন ডায়ারিয়ায় আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। খুব কম রোগীই জ্বর নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। আউটডোর সর্দি, কাশি, জ্বর নিয়ে রোগীরা ভিড় করছেন। তাঁদের যথাযথ পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। আমরা সবদিক দিয়ে প্রস্তুত রয়েছি। নদী বা বৃষ্টির জল সেরকম না জমায় ডায়ারিয়ার প্রকোপ তেমন নেই। তবে আমরা স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে এলাকায় সচেতনতা বাড়াচ্ছি। চাঁচল-২ ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রসেনজিৎ হালদার বলেন, সাধারণ জ্বর, সর্দি নিয়ে অনেকে হাসপাতালে আসছেন। তবে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। আমরা এনিয়ে গ্রামাঞ্চলে প্রচার করছি। যতদূর সম্ভব সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
বর্ষার মরশুমে চাঁচল মহকুমা জুড়ে অনেকে অজানা বা ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়ার ব্লক হাসপাতালগুলিতে সর্দি কাশি ও জ্বরের রোগীরা ভিড় করছেন। চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের অন্তঃবিভাগে পুরুষ মহিলা ওয়ার্ড মিলিয়ে কমপক্ষে ৩০ জনের বেশি অজানা ভাইরাল জ্বর নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চাঁচল-২ ব্লকের মালতীপুর গ্রামীণ হাসপাতাল অনেকে জ্বর নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। হরিশ্চন্দ্রপুর-১, ২ ব্লকেও জ্বরের প্রকোপ রয়েছে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ভাইরাল ফিভার ছড়াচ্ছে। তা থেকে জ্বর সর্দি উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এদিকে মানিকচক ব্লকে আন্ত্রিক ছড়াচ্ছে। অনেকেই ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বেশ কয়েকজন রোগী মানিকচক ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরিষেবা নিচ্ছেন। যদিও আন্ত্রিক মোকাবিলায় গ্রাম পঞ্চায়েত জুড়ে নাগরিকদের সচেতনতা বাড়াচ্ছে মানিকচক ব্লক হাসপাতাল কতৃপক্ষ। ইতিমধ্যে ব্লকের ১৭০ জন আশা কর্মী এবং ৬০ জন এএনএম সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতই মিটিং করে করে মহিলা ও শিশুদের সচেতন করছে। বর্ষার মরশুমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের প্রচারে আন্ত্রিক মোকাবিলায় ফুটিয়ে জল খাওয়া থেকে শুরু করে শৌচালয় ব্যবহারের পর ভালোভাবে হাত ধোওয়া এবং যত্রতত্র রাস্তা ঘাটে মলমূত্র ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকতে গ্রামবাসীদের বেশি করে সচেতন করছেন।