কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জখম অজিতবাবু বলেন, এদিন দুপুরে আমি দলীয় কর্মীদের নিয়ে সদস্যকরণ অভিযানে বেরই। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ওই কর্মসূচি চলছিল। সেসময় স্থানীয় এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার নেতৃত্বে গুন্ডারা আমাকে এবং আমাদের দলের কর্মীদের উপর হামলা করে। আমাদের রাস্তায় ফেলে বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। ওরা আমার নাক ফাটিয়ে দিয়েছে। আমার কাঁধেও চোট লেগেছে। আমরা পুলিসকে নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করব।
গঙ্গারামপুর পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের অমলেন্দু সরকার বলেন, কোনও রাজনৈতিক দল তাঁদের সদস্যকরণ অভিযান করতেই পারে। তাতে আমাদের বাধা দেওয়ার প্রশ্নই নেই। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে এদিন এক বিজেপি নেতা জখম হয়েছেন শুনেছি। তবে ওই ঘটনায় আমাদের দলের নাম অযথা জড়ানো হচ্ছে। বিজেপি কিছু নাম বলছে শুনেছি। ওই নামে আমাদের দলে কেউ নেই। প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, গঙ্গারামপুরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের কর্মীরা এদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে সদস্যকরণের অভিযান করেন। সেসময়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মীদের উপর চড়াও হয়। এতে আমাদের বুথ সভাপতি অজিত সাহা জখম হন। জেলাবাসী সঠিক সময়ে এর জবাব দেবে।
পুলিস জানিয়েছে, কোনও অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে। গঙ্গারামপুর টাউন বিজেপির অভিযোগ, ধর্মতলায় শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে কর্মীদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দেওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলী দুষ্কৃতী বাহিনীর তাণ্ডব শুরু হয়ে গিয়েছে। গঙ্গারামপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির বুথ সভাপতি অজিতবাবু এদিন কর্মীদের নিয়ে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বুরুজপাড়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান করছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, ওই ওয়ার্ডের এক তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা তাঁদের কর্মীদের মারধর করে। এতেই অজিতবাবু জখম হন। পরে স্থানীয়রা এবং বিজেপি কর্মীরা জখম বুথ সভাপতিকে উদ্ধার করে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিজেপি জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করা হবে। এদিনের ঘটনায় এলাকায় সাময়িকভাবে উত্তেজনা ছড়ায়। গঙ্গারামপুর থানার পুলিস বাহিনী পুরসভার ওই দু’টি ওয়ার্ডে টহল দিচ্ছে।