পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন সকালেই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মালদহ উত্তরের প্লাবিত এলাকা ও ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে যান খগেনবাবু। সঙ্গে ছিলেন জেলা বিজেপি’র সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল। খগেনবাবুর গাড়ি প্রথমেই গিয়ে পৌঁছয় রতুয়ায়। সেখানে গিয়ে পায়ে হেঁটে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ভাঙন প্রত্যক্ষ করেন তিনি। যেভাবে ভাঙন চলছে তা দেখে শিউরে ওঠেন তিনি। তিনি সেচ দপ্তরের কর্তাদের ডেকে পাঠান। টেলিফোনে কথা বলেন জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গেও। সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়েই ভাঙন নিয়ে নিজের উদ্বেগ ও ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
সেচ দপ্তরের কাছে তিনি জানতে চান কেন শুখা মরশুমে বাঁধ মেরামত ও সংস্কারের কাজ হয়নি। সেচ দপ্তরের কর্মীদের উত্তরকে গুরুত্ব না দিয়ে তিনি বলেন, আসলে মালদহের বিশেষ করে মালদহ উত্তরের নাগরিকদের জীবনকে হেলাফেলা করছে রাজ্য সরকার। দায়িত্ববোধ থাকলে এই বাঁধ সঠিক সময়ে সংস্কার ও মেরামত করে লক্ষাধিক মানুষকে রক্ষা করা যেত।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সংসদ সদস্য আরও বলেন, আমি সেখানে দাঁড়িয়ে ভাঙন দেখছিলাম, আধ ঘণ্টার মধ্যেই সেই জায়গাটি তলিয়ে গেল নদীগর্ভে। আমি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছি এই ভেবে যে আরও খানিকক্ষণ ওখানে থাকলে আমারও সলিল সমাধি হতে পারত। রতুয়া থেকে নৌকা করে হরিশ্চন্দ্রপুরের কাউয়াডোল, ভাকুরিয়া সহ হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের বেশ কয়েকটি প্লাবিত এলাকাও পরিদর্শন করেন তিনি। কথা বলেন ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গেও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহানন্দা এমব্যাঙ্কমেন্টটি প্রায় ১২ ফিট চওড়া। প্রায় ১০০ মিটার এলাকা জুড়ে এই চওড়া বাঁধের সামান্য অংশ ছাড়া বাকিটা নদীগর্ভে। চাঁচলের মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছেন, বাঁধ রক্ষার সব রকম চেষ্টা চলছে। প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। এলাকাবাসীকে সতর্ক করতে মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে।
এদিকে বিজেপি সংসদ সদস্য রাজ্য সরকারের উপর ভাঙনের দায় যেভাবে চাপিয়েছেন তার কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন সংসদ সদস্য তথা জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম নুর। তিনি বলেন, পূর্বতন বিজেপি সরকার ভাঙন রুখতে কোনও ইতিবাচক ভূমিকা নেয়নি। দায় ঝেড়ে ফেলতে তাই বর্তমান সংসদ সদস্য রাজ্য সরকারকে দোষারোপ করে বিভ্রান্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।