বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্টেটরের সদস্য তথা বিদায়ী চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের সুভাষ গোস্বামী বলেন, পুরবোর্ড না থাকলেও নাগরিক পরিষেবায় কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। আমরা নিয়মিত নিকাশিনালা সাফাই, নোংরা আবর্জনা সাফাই থেকে শুরু করে সমস্ত কাজই করছি। তবে নতুন করে কোনও ফান্ড আসেনি। এরমধ্যে নির্বাচন ছিল। এজন্য আমরা বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্টেটরের মিটিং করব। রাস্তা নির্মাণ, ড্রেন তৈরি সহ প্রয়োজনীয় কাজের তালিকা করে ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে এস্টিমেট করে রাজ্যে ফান্ড চাইব। বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। পুর এলাকার উন্নয়ন ব্যাহত হতে দেব না। স্থানীয় সিপিএম নেতা তথা দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটির সদস্য সুরজিৎ কর্মকার বলেন, পুরসভা এলাকায় কোনও উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না। বোর্ড অফ কাউন্সিলারের নামে তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলাররাই চালাচ্ছে। সাধারণ একটি রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ হয়রানি হচ্ছে। কংগ্রেসের ডালখোলা টাউন সভাপতি জাভেদ আলম বলেন, প্রতিবছর বর্ষার আগে বেহাল রাস্তার মেরামতি হয় কিন্তু এবার সেকাজ হয়নি। রাস্তাঘাট, ড্রেনের কোনও কাজই হচ্ছে না। নতুন কিছু উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বিজেপির ডালখোলা টাউন সভাপতি হরিমোহন মজুমদার বলেন, বর্তমানে পুরসভার উন্নয়নের কোনও কাজই হচ্ছে না। অনেক রাস্তা বেহাল, অনেক জায়গায় পানীয় জলের পাইপলাইন নেই। তৃণমূল সরকার ইচ্ছে করেই এখনও নির্বাচন করাচ্ছে না। মানুষ তাদের পক্ষে নেই।
প্রশাসন জানিয়েছে, গত বছর অক্টোবরে পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। ২৩ অক্টোবর বিদায়ী চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের সুভাষ গোস্বামী ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএমডিসি) অর্ণব রায়কে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। এরপর অর্ণববাবুই কিছুদিন পুরসভা পরিচালনা করেন। পরে অর্ণববাবুর পরিবর্তে ডিএমডিসি পৃথ্বীশ সামন্তকে পুরসভার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর করা হয়। এরপর নবান্ন থেকে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর গঠনের নোটিস আসে। ওই বোর্ডে বিদায়ী চেয়ারম্যান সুভাষ গোস্বামী, করণদিঘির বিধায়ক তৃণমূলের মনদেব সিংহ দুই জন সদস্য এবং চেয়ারম্যান হিসাবে ডিএমডিসি পৃথ্বীশ সামন্তকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা বলছে, ১০ মাস আগেই পুরবোর্ড ভেঙেছে। এখন ওয়ার্ড কাউন্সিলার নেই। ওয়ার্ডগুলিতে নিয়মিত কাজ হচ্ছে না। অনেক রাস্তা বেহাল হয়ে আছে। নিকাশিনালা নেই, নোংরা আবর্জনার সমস্য, এমন নানা সমস্যা আছে যেগুলি কাউন্সিলাররা নজর দিতেন কিন্তু এখন অনেক ক্ষেত্রে পরিষেবা আগের মতো নেই। নতুন করে কোনও কাজ হচ্ছে না। শীঘ্রই নির্বাচন হওয়া উচিত।