বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ইতিমধ্যেই জেলা থেকে বিজেপিতে যাওয়া তৃণমূলের ১০ জেলা পরিষদ সদস্যের মধ্যে তিনজন শাসকদলে ফিরে এসেছেন। এবার বিশ্বনাথবাবুও তৃণমূলে ফিরলে বিপ্লব মিত্রের গেম প্ল্যান যে ফেল করবে তা বলাই বাহুল্য। এনিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকারের দাবি, বিশ্বনাথবাবুর নামে প্রচুর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি জেলায় ফিরতে পারছেন না তৃণমূল কর্মী ও নেতাদের ভয়ে। তাই নিজের দলে ফিরছেন। আমরা আগে জানলে তাঁকে দলে নিতাম না। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন বিশ্বনাথবাবু নিজের ভুল বুঝতে পেরে দলে ফিরছেন। তিনি ২১ জুলাইয়ের সভায় যোগদান করেছেন। জেলায় ফিরে তাঁর হাতে আমরা দলীয় পতাকা তুলে দেব।
জেলা পরিষদের সদস্য বিশ্বনাথ পাহান বিপ্লব অনুগামী বলেই পরিচিত। তিনি বিপ্লব মিত্রের হাত ধরেই বিজেপিতে যোগদান করেন। তবে বিজেপিতে যোগদান করার পর তিনি এখনও পর্যন্ত জেলায় পা রাখতে পারেননি। বেশ কিছুদিন আগেই শাসক দলের তরফে দাবি করা হয় বিশ্বনাথবাবুর নামে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণে তিনি জেলায় ফিরতে পারছেন না। তাঁর বাড়িতে চাকরিপ্রার্থীরা টাকা ফেরতের দাবি জানিয়ে আগে কয়েকবার হামলাও করেছে। এরই মধ্যে ২১ জুলাইয়ে জমায়েত হওয়ার কর্মীদের দেখভাল করতে মিলন মেলা প্রাঙ্গণে অর্পিতা ঘোষ ও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত হয়। সেখানে অর্পিতা ঘোষ সহ জেলার আরও নেতাদের সঙ্গে একই ফ্রেমে বিশ্বনাথবাবুকে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মী বিশ্বনাথবাবুর সেই ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার ইঙ্গিত এতে ছড়িয়ে পড়ে। অর্পিতা নিজেও সেকথা স্বীকার করেছেন। যদিও বিশ্বনাথবাবুকে ফোনে পাওয়া যায়নি। বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য দাবি করেছে বিষয়টি নিয়ে কোনও চিন্তাই তাদের নেই। তবে এইভাবে একের পর এক বিপ্লবের ঘর ছেড়ে জেলা পরিষদের সদস্যরা বিজেপি ছেড়ে যেভাবে তৃণমূলে যোগদান করছেন তাতে আগামীতে বিপ্লব মিত্র এক ঘরে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও দেখা দিতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। এদিন একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে বিপ্লববাবুও ফোন ধরেননি।