বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বিজেপির এসটি এসসি ওবিসি সেলের কোচবিহার জেলা কমিটির সম্পাদিকা অর্পিতা নারায়ণ বলেন, রাতে আমার বাড়িতে পর পর দু’টি বোমা মারা হয়। এর আগেও বাড়িতে বোমা মারা হয়েছিল। তৃণমূলের লোকজন এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে। আগের ঘটনা পুলিসকে জানানো হয়েছিল। তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। শুক্রবার রাতে ঘটনার পরপরই থানায় জানাই। পুলিস দেরিতে এলেও রাতেই একটি তাজা বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আমার বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কর্মীরা দিনহাটা-কোচবিহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, কোচবিহার জেলার সভাপতি মালতী রাভা উপস্থিত ছিলেন। কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিস অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে আমরা অবরোধ তুলি।
রাজুবাবু বলেন, তৃণমূলের এক নেতার নির্দেশে আমাদের ওই নেত্রীর বাড়িতে বারবার হামলা চালানো হচ্ছে। আমরা এটা আর সহ্য করব না। পুলিস দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলবে। এদিন আমরা রাস্তা অবরোধ করি। এরপরেও পুলিস পদক্ষেপ না নিলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
যদিও দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। তিনি বলেন, ওরা মিথ্যে অভিযোগ আনছে তা প্রমাণিত। কারণ আমাদের দলের সমস্ত কর্মী ২১ জুলাইয়ের সভায় অংশ নিতে এই মুহূর্তে কলকাতায় আছেন। ওরা নিজেরাই বাড়িতে বোমা ফাটিয়ে নাটক করছে। সাজানো ওই ঘটনায় আমাদের দলের কেউ জড়িত নেই।
কোচবিহার কোতোয়ালি থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায় বলেন, বিজেপি নেত্রীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে একজনকে ধরা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।
অন্যদিকে কল্যাণী কলেজে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি’র কর্মীদের উপর টিএমসিপি’র হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন এবিভিপি’র সদস্যরা মাথাভাঙা কলেজ মোড়ে পথ অবরোধ করেন। এক ঘণ্টা অবরোধ চলে। পরে মাথাভাঙার থানা থেকে পুলিস পৌঁছে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে অবরোধ তুলে দেয়। এবিভিপি’র মাথাভাঙা-১ ব্লকের আহ্বায়ক স্বপন বর্মন বলেন, কল্যাণী মহাবিদ্যালয়ে আমাদের সদস্যদের উপর টিএমসিপি হামলা চালিয়েছে। প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় নেমেছি।