রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
১৯১৯ সালের ১৯ জুলাই ওপার বাংলার ফরিদপুরে তরুবালাদেবীর জন্ম। বিয়েও হয় ফরিদপুরে। দেশভাগের পর স্বামী শ্যামাচরণ দাসের হাত ধরে এপার বাংলায় আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যনগরে চলে আসেন। তরুবালাদেবীর তিন ছেলে ও তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।
২৬ বছর আগে মারা যান তাঁর স্বামী শ্যামাচরণ দাস। ছেলে, মেয়ে, নাতিনাতনিকে নিয়ে তাঁর সংসার। ১০০ বছর বয়স হলেও এখনও স্নান থেকে শৌচকর্ম সব কাজ তিনি নিজেই করেন। বয়সের ভারে তাঁর গলার স্বর ক্ষীণ হয়ে এসেছে। কানেও আজকাল কম শুনছেন।
শততম জন্মদিনটি স্মরণীয় করে রাখতে শুক্রবার রাতে তরুবালাদেবীর পরিবারের লোকেরা বাড়িতে প্যান্ডেল বানিয়ে প্রতিবেশীদের পঙক্তিভোজনের ব্যবস্থা করেন। এজন্য বাড়ির উঠোনেই প্যান্ডেল করা হয়। বাড়ির সামনে রঙিন বেলুন দিয়ে সাজানো হয় গেট।
কেক কাটার জন্য তরুবালাদেবীকে এদিন সিংহাসন চেয়ারে বসানো হয়েছিল। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বৃদ্ধাকে নতুন শাড়ি পরিয়ে, কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে সাজানো হয়। ছেলে, মেয়ে নাতিনাতনিদের অনুরোধে তরুবালাদেবী নিজেই কেক কাটেন। নাতিনাতনি, মেয়েদের সঙ্গে সেল্ফিও তোলেন।
তরুবালাদেবীর জন্মদিনের রাতের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন ২৫০ জন অতিথি। বৃদ্ধ যা পছন্দ করেন সেটাই ছিল খাবরের মেনু। সাদা ভাত, ভাজা কচুশাক, ডাল, আলু পোস্ত, পনির। শেষ পাতে দেওয়া হয় দই, মিষ্টি আর আইসক্রিম।
তরুবালাদেবীদের আর্থিক সঙ্গতি খুব একটা ভালো নয়। তিন ছেলের মধ্যে এক ছেলে পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। একজন টোটো চালান অন্য এক ছেলে সোনার দোকানে কাজ করে সংসার চালান। বড় ছেলে বিষ্ণুপদবাবু বলেন, আমাদের আর্থিক অবস্থা খুব ভালো নয়। তবুও মায়ের ১০০ বছর বয়স হওয়ার বিষয়টিকে স্মরণীয় করে রাখতেই প্রতিবেশীদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। বাংলাদেশের ফরিদপুরে মামাদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। ওপারে মামারাও মায়ের ১০০ বছর জন্মদিনে তাঁদের বাড়িতে আয়োজন করেন।