বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কৃষি বিভাগের মুখ্য অধিকর্তা জ্যোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ফসল বিমা যোজনার আবেদন জমা নেওয়া হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষি কাজে ক্ষয়ক্ষতি হলে একর প্রতি কৃষকদের ২৭ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। তবে অবশ্যই কৃষককে ফসল বিমা যোজনায় নাম লেখাতে হবে। জেলাজুড়ে কৃষকদের মধ্যে আমরা এনিয়ে জোরদার প্রচার চালাচ্ছি।
দক্ষিণ দিনাজপুর কৃষি প্রধান জেলা হিসেবে পরিচিত। এই জেলার অন্যতম অর্থকরী ফসল আমন ধান। জেলার অধিকাংশ কৃষকই বর্ষাকালীন আমন ধান চাষ করে থাকেন। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে জেলায় ভারী বৃষ্টির জেরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকদের মধ্যে আমন ধান চাষের আগ্রহ কমেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরে সরকার থেকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ জমে আছে। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ভারী বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। খেতের ধান, পাট সহ সব্জি নষ্ট হয়ে যায়। চাষিরা বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েন। কৃষদের অভিযোগ, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। তবে এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাতে কোনও কৃষক সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন তারই উদ্যোগ সরকার নিয়েছে। সেজন্য আমন ধান চাষকে বিমার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। একর প্রতি আমন ধান চাষে ক্ষতি হলে ২৭ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে কৃষকদের দেওয়া হবে। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুন, বজ্রপাত, ঝড়, শিলাবৃষ্টি, বন্যা, পোকামাকড় আক্রমণে ক্ষতি হলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়াও ফসল তোলার পরে ১৪ দিনের মাথায় জমিতে পড়ে থাকা ধান বৃষ্টির জলে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পাবেন।