বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এমনিতেই ভবানীগঞ্জ বাজারে নানা পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। তার উপরে নতুন করে নির্মাণ কাজ করা ও তা পরিকল্পনা মাফিক না করার অভিযোগ তুলেছে ব্যবসায়ী সমিতি। এই পরিস্থিতিতে কাজ বন্ধ রাখারও দাবি করেছেন তাঁরা। পুরসভা অবশ্য জানিয়েছে, কাজ বন্ধ করলে আখেরে কোচবিহারবাসীরই ক্ষতি হবে।
কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নারায়ণ মোদক বলেন, ভবানীগঞ্জ বাজারে অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে। আমরা এদিন বাজার পরির্দশনে এসেছিলাম। বাজারের অবস্থা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমাদের অন্ধকারে রেখে কাজ হচ্ছে। আমরা কাজ বন্ধ করতে বলেছি। কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতি সম্পাদক চাঁদমোহন সাহা বলেন, বাজারের দোতলায় পুরসভা নির্মাণের কাজ করছে। উপরে কাজ করলে নীচের ব্যবসায়ীদর সমস্যা হচ্ছে। দোকানে জল ঢুকছে। পাশে পলিথিন দেওয়া না থাকায় মানুষের গায়ের উপর নির্মাণ সামগ্রী পড়ছে। আমরা এসব নিয়ে পুরসভার চেয়ারম্যানকে আলোচনা করতে বলেছিলাম। কিন্তু কাজ হয়নি। আমরা এদিন জেলাশাসকের কাছে বাজারের বিভিন্ন অব্যবস্থা কথা উল্লেখ করে স্মারকলিপি দিয়েছি। জেলা শাসকের দপ্তরে তা জমা দেওয়া হয়েছে।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের ভূষণ সিং বলেন, ওঁদের সঙ্গে আগে আলোচনা হয়েছে। এঁরা এখন বাজারে পুরসভার সমস্ত পরিষেবা বন্ধ করতে বলেছেন। বাজারে পুরসভার সব পরিষেবা বন্ধ করে দিলে কোচবিহারের মানুষ সমস্যায় পড়বেন। আমি চাই ওঁদের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন হোক। যাঁরা এসব বলছেন, তাঁরা কি ইঞ্জিনিয়ার? পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার সব দিকে দেখেই কাজ করছেন। এঁরা যা বলছেন সবই মিথ্যা।
২০০৩ সালের ২৫ নভেম্বর কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারে বিরাট অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। সেই সময় বাজারের বিস্তীর্ণ এলাকা পুড়ে গিয়েছিল। এরপর পুরসভার পক্ষ থেকে সেখানে নতুন করে বাজারের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়। সম্প্রতি পুরসভা বাজারের দোতলায় নতুন করে নির্মাণ কার্য শুরু করেছে। সেই নির্মাণ কাজ নিয়েই আপত্তি তুলেছে কোচবিহার ব্যবসায়ী সমিতি। এদিন সমিতির প্রতিনিধি দল ওই নির্মাণ কার্য দেখতে বাজারে এসেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, এক জায়গায় বাজারের উপরে ওঠার নির্মীয়মাণ সিঁড়ি বাইরে থেকে শাটার দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে ওই দোকানটি যে নেবে সিঁড়িটি তার এক্তিয়ারে চলে যাবে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে সেখান দিয়ে ওঠা বা নামার সুযোগ থাকবে না। এই রকম আরও নানা অভিযোগ তাঁরা তুলেছেন। যদিও পুরসভা এসব কোনও অভিযোগকেই আমল দিতে নারাজ।