বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা করে যান ওই এলাকায়। এরপরই সেখানে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা আগামী আগস্ট মাসে তাদের দলীয় কর্মসূচি নিয়ে এলাকায় মিটিং করেন। এনিয়ে এলাকায় হঠাৎ করেই উত্তেজনা তৈরি হয়। শুক্রবার সকালে তৃণমূল ও সিপিএম কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। সেই সময়ই কয়েকজন দুষ্কৃতী তৃণমূল কার্যালয়ে হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় চেয়ার টেবিল। হামলায় এক তৃণমূল কর্মী জখমও হন। এলাকায় পুলিসি টহল শুরু হয়েছে।
মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা বলেন বৃহস্পতিবার আমরা সেখানে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা করি। সেখানে সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেস থেকে কিছু নেতা-কর্মী আমাদের দলে যোগদান করেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সিপিএম ও বিজেপি মিলে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে। আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে। আমরা পুলিস প্রশাসনকে ঘটনার কথা জানিয়েছি। আমাদের সভায় লোক দেখে যাদের ঈর্ষা হয়েছে তারাই এই কাজ করেছে।
জখম তৃণমূল কর্মী নেপাল সরকার বলেন শুক্রবার আমাদের দলীয় কার্যালয়ে আমি বসেছিলাম। গ্রামের কয়েকজন এসে আমার উপর চড়াও হয়ে আমাকে লাঠি দিয়ে মারধর করে। তারপর আমাদের পার্টি অফিসের ভেতরে ভাঙচুর চালায়। আমি কোনও রকমে পালিয়ে বেঁচেছি। আমি সমস্ত ঘটনা পুলিসকে জানিয়েছি।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাস বলেন নারায়ণপুরে তৃণমূলের সমাজবিরোধীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সভার শেষে আমাদের কর্মীরা আগামী আগস্ট মাসে আমাদের দলীয় কর্মসূচি নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঘরোয়া বৈঠক করেন। সেই বৈঠক থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমাদের দু-জন কর্মীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত এলাকার সমাজবিরোধীরা। শুক্রবার সকালে অন্যায় ভাবে গ্রামের দুইজন যুবককেও তারা মারধর করে। এলাকাবাসী প্রতিরোধ করেন। এমনিতেই তৃণমূল কর্মীরা এলাকায় কাটমানি তুলেছেন বলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত রয়েছেন। তারই প্রতিফলন হয়েছে। আমাদের কর্মীরা কাউকে মারধর করেনি বা কোথাও হামলা করেনি। আমরা একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল। আমরা সমাজবিরোধীদের দলে রাখি না। বিজেপি’র জেলা সভাপতি বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে। আমাদের মিথ্যা জড়ানো হচ্ছে।
গঙ্গারামপুর মহকুমা অতিরিক্ত পুলিস সুপার ওয়াংদেন ভুটিয়া বলেন নারায়ণপুরে তৃণমূল কার্যালয় ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিস গিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ওই ঘটনায় দু-জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।