বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
তাঁদের কেউ দেওঘরে বাবাধামে থাকার কথা জানিয়েছেন। কেউ অসুস্থতার কথা বলছেন। আবার কেউ ব্যক্তিগত কাজে দিল্লিতে থাকার কথা জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে দলীয় নেতার বিতর্কিত মন্তব্যকে ঘিরে আলিপুরদুয়ারে জোর আলোড়ন পড়েছে। এনিয়ে দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব ধর বলেন, নানা কারণেই বিদায়ী কাউন্সিলারদের অনেকে কলকাতায় যেতে পারছে না। তবে তাঁরা প্রত্যেকেই দলের কাজে যুক্ত আছেন। জহরবাবু বলেন, যা বলার আগেই বলেছি। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে এনিয়ে এখন মুখ খুলব না।
সম্প্রতি দলের রাজ্য সহ সভাপতি জহরবাবু তাঁর বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে দলের বিদায়ী কাউন্সিলারদের বিরুদ্ধে হাউস ফর অল প্রকল্পের ঘর বিতরণে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করেন। ঘোরতর অস্বস্তিতে পড়ে যায় দল। বিদায়ী কাউন্সিলারদের দাবি, ভিত্তিহীন অভিযোগ করার পরেও দল জহরবাবুর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই কারণেই জেলা শহরে দলীয় ওই কর্মসূচির মিছিলে না হাঁটার পাশাপাশি এবার কলকাতামুখো হচ্ছেন না তাঁরা। এই ঘটনায় শহরের রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকেই দলীয় ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে জেলা থেকে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের কলকাতা যাওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু নিউ আলিপুরদুয়ার ও আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশন থেকে কলকাতাগামী ট্রেনগুলিতে কর্মীসমথর্কদের ভিড় সেভাবে চোখে পড়েনি। শুক্রবার তিস্তা তোর্সা, পদাতিক ও কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে ব্যাচ পড়া তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড় কিছুটা লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু গতবারের মতো উপচে পড়া ভিড় ছিল না। আজ শনিবারও জেলা থেকে আরও দলীয় কর্মী-সমর্থক কলকাতা যাবেন।
দলের টাউন ব্লক সভাপতি ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দীপক সরকার দু’জনই দেওঘরে বাবাধামে পুজো দিতে গিয়েছেন। তাঁরা জানান, এটা তাঁদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি। দলীয় নেতৃত্ব সেটা জানে। পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী দলীয় কাউন্সিলার গৌতম তালুকদার বলেন, ব্যক্তিগত কাজে দিল্লিতে আছি। তাই কলকাতায় দলের কর্মসূচিতে এবার যেতে পারছি না। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার দেবকান্ত বড়ুয়া (নান্টু) বলেন, আমার জ্বর হয়েছে। কলকাতায় দলীয় ওই কর্মসূচিতে থাকছেন না দীপ্তবাবুর স্ত্রী ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার রুমা চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত থাকছেন না দীপ্তবাবুর শ্যালক,আরও এক বিদায়ী কাউন্সিলার শান্তনু ভৌমিক। গত বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিস দত্ত জানান, পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় দলীয় কর্মসূচিতে যেতে পারছি না।