বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, জেলার সমস্ত ব্লকের স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের ঘাটতি আছে। আমরা ওই ঘাটতির তালিকা স্বাস্থ্য ভবনে পাঠিয়েছি। গত দু’বছরে উচ্চশিক্ষার জন্য জেলা ছেড়ে ১৭ জন চিকিৎসক চলে যান। নিয়ম অনুযায়ী আমরা তাঁদের ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। আগামী দিনে তাঁরা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করবেন। তবে আমাদের এখানে যাঁরা আছেন তাঁরা সকলেই বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে কাজ সামলাচ্ছেন। স্বাস্থ্য ভবন এই জেলার জন্য চিকিৎসক নিয়োগ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কালিয়াগঞ্জ হাসপাতাল, ইসলামপুর হাসপাতাল ছাড়াও জেলায় মোট ১৮টি ব্লক ও মহকুমা স্তরের স্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ কিছু উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে সাতটিতে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা পাওয়া যায়। বাকি ১১টি সমানভাবে কাজ করলেও সেগুলি প্রতিটি জেলা বা মহকুমা হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। জেলার ন’টি ব্লকের ন’টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মূলত গ্রামীণ এলাকার মানুষ নির্ভর করে থাকেন। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে মোট ৬৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন। ২০১৯ সালের আগে এই সংখ্যাটি ৭৬ ছিল। ২০১৮’তে চিকিৎসক ছিলেন ৮২ জন। ছেড়ে যাওয়া ওই ১৭ জন চিকিৎসক উচ্চ শিক্ষার জন্য লম্বা ছুটিতে আছেন। নিয়ম মেনে তাঁরা আবেদন করেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সরকারি নিয়ম মেনে তাঁদের ছুটি মঞ্জুর করেন। স্বাভাবিকভাবে তারপর থেকেই জেলার ব্লক স্তরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসকের অভাব অনুভূত হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার অভিযোগও মাঝেমধ্যে উঠেছে। যদিও জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, যেসব চিকিৎসক সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ের পরেও পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা যেকোনও রোগীর ক্ষেত্রেই দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসা করেন। কাজেই পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার প্রশ্ন নেই। যদিও জেলার ব্লকের স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভর না করে অনেকেই মহকুমা কিংবা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চলে আসেন।
জেলার বিভিন্ন ব্লকের স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য রাজ্য থেকে পদক্ষেপ করা হয়। চিকিৎসকদের একটি অংশের দাবি, এই জেলায় সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলেও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সেভাবে না থাকায় জন্য বহু চিকিৎসক নিয়োগপত্র পেয়েও আসতে চান না। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য চিকিৎসককে নিয়োগপত্র হাতে দেওয়া হলেও তাঁরা শুধুমাত্র যোগাযোগের অব্যবস্থার জন্য কাজে যোগ দেননি।