বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
২০১৭ সালের বন্যায় জেলায় ত্রিপল বিলি নিয়ে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বন্যা কবলিতদের ত্রিপল না দিয়ে তাদের বরাদ্দ ত্রিপল খোলা বাজারের বিক্রির অভিযোগ ওঠে শাসক দলের নেতাদের। হাতেনাতে একাধিক শাসক দলের নেতা ত্রিপল চুরি করতে ধরা পড়ে। অনেকেই জনরোষের মধ্যে পড়েন। সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য বিডিও নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রিপল বিলি করছেন। ইতিমধ্যে প্রায় ৩০০০ ত্রিপল তিনি বিলি করেছেন।
এদিকে তপনের প্রায় ১০০ বাসিন্দা ঘরছাড়া রয়েছেন। এদের ত্রাণ শিবিরের রাখা হয়েছে। ত্রাণ শিবিরের খাবার নিয়ে যাতে দুর্গতদের কোনও অভিযোগ যাতে না থাকে সেই দিকেও বিশেষ নজর দিয়েছে ব্লক প্রশাসন। শুকনো খাবার না দিয়ে তাদের ত্রাণ শিবিরের রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে।
তপনের বিডিও সুশান্ত মাইতি বলেন, ত্রিপল বিলি নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ ওঠে। সেই কারণে যাতে সঠিক ভাবে ত্রিপল বিলি হয় সেদিকে নজর দিয়েছি। কর্মীদের নিয়ে গিয়ে বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রিপল বিলি করা হয়েছে। পাশাপাশি ত্রাণ শিবিরের শুকনো খাবার না দিয়ে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ব্লকের প্রায় ১০০ জনকে ত্রাণ শিবিরের রাখা হয়েছে।
২০১৭ সালে ভয়াবহ বন্যায় জেলাজুড়ে ত্রিপল বিলি নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনে তরফে শাসক দলের নেতাদের ত্রিপল বিলির দায়িত্ব দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে সেই ত্রিপল বিলি না করে শাসকদলের একাংশ নেতা তা খোলাবাজারে বিক্রি করে দেন। বিষয়টি সামনে আসতেই কয়েক জায়গায় নেতারা আক্রান্তও হন। এবার সেই ঘটনা এড়াতেই প্রশাসন এভাবে ময়দানে নেমে কাজ শুরু করেছে। তপন ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে— আজমতপুর, রামপাড়া চেঁচরা, গুরাইল, রামচন্দ্রপুর। পুনর্ভবা নদীর জল বাঁধ ভেঙে এইসব এলাকায় ঢুকে পড়েছে। বজরাপুকুর, ভূতপাড়া এলাকার বিশাল অংশজুড়ে বাঁধ ভেঙে পুনর্ভবা নদীর জল হুহু করে এলাকায় ঢুকছে। দুই এলাকার কয়েকশো বাসিন্দা এখনও ঘরছাড়া। তাদের ত্রাণ শিবিরের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু এলাকায় জল নামতে শুরু করায় বাসিন্দারা বাড়ি ফিরেছেন। যাঁরা ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের বিডিও অফিসের তরফে রান্না করা খাবার বিলি করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সঠিক ভাবে দ্রুত ক্ষতিপূরণের টাকা হাতে পান সে বিষয়েও ব্লক প্রশাসন উদ্যোগী হয়েছে। এদিকে ব্লক প্রশাসনের এমন নজিরবিহীন তৎপরতায় দুর্গতরা খুশি। ত্রাণ নিয়ে প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে বাসিন্দারা সাধুবাদই জানাচ্ছেন।