বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
জেলার ডেপুটি পুলিস সুপার (আইনশৃঙ্খলা) শ্যামল কুমার মণ্ডল বলেন, অবরোধে মানুষের সমস্যা হওয়ায় আমরা এসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু হঠাৎ তারা আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করে। তখন বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে আমরা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়েছি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা আমরা করছি। জেলা আরএসপির সম্পাদক সর্বানন্দ পাণ্ডে বলেন, টোটো চালক ও মালিকপক্ষের পেটে টান পড়ায় এদিন তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল। তারা নিরুপায়। তবে ইটবৃষ্টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানোর মতো পরিস্থিতি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। যেটা আমরা আশা করিনি। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নিতে জেলাশাসক ও এসপির সঙ্গে কথা বলেছি। এসপি আমাদের কাছে গঠনমূলক একটি প্রস্তাব চেয়েছেন। টোটো চালক, মালিকপক্ষের পাশাপাশি বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা প্রস্তাব তৈরি করব। স্থানীয় বিধায়ক কংগ্রেসের ভূপেন্দ্র নাথ হালদার (অর্জুন) বলেন, আজকের যে ঘটনা সেটা আন্দোলনের পথ না। আমরা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। এই আন্দোলনে অনেক মাথা ঢুকে থাকায় এধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেকেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। এনিয়ে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সাজেশন চেয়েছে। কীভাবে সমস্যা মেটানো যায় তার পথ খোঁজা হচ্ছে।
এদিন সকাল ৯টায় মালদহ নালাগোলা রাজ্য সড়কের উপর পুরাতন মালদহের সাহাপুর-রায়পুর এবং সেতু মোড়ে টোটো চালক ও মালিকপক্ষ অবরোধ শুরু করে। দুপুর ১টা পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে গেলে ব্যাপক যানজট বাধে। তাতে পুলিস এসে আন্দোলনকারীদের অবরোধ তুলে নিতে বললে সংঘর্ষ বেধে যায়। তখনই গাড়ি ভাঙচুর, লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। এদিন ইংলিশবাজারের নুনবহিতেও টোটো চালকদের বিক্ষোভ হয়। দিনের পর দিন টোটো চালকের অবরোধ আন্দোলনের জেরে মানুষের মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে। পথ চালতি মানুষ নিত্যদিন দুর্ভোগে পড়ছেন। সকলেই চাইছেন, আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষের সমস্যা তৈরি করার রাজনীতি বন্ধ হোক।