বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই চরম বিপদসীমা অতিক্রম করে যায় ফুলহার নদীর জলস্তর। ৩৬ ঘণ্টা আগেই বিপদসীমা পেরিয়ে গিয়েছিল ফুলহার। এবার চরম বিপদসীমাও অতিক্রান্ত হওয়ায় নতুন করে বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। বুধবার সন্ধ্যায় ফুলহার নদীর জলস্তর ছিল ২৮.৫৭ মিটার। চরম বিপদ সীমার (২৮.৩৫ মিটার) শূন্য দশমিক ২২ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ফুলহার। তবে আশার কথা, বুধবার সন্ধ্যায় সামান্য হলেও কমেছে ফুলহারের জলস্তর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলহার নদীর জলে প্লাবিত হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে এবং ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতগুলিকে চারটি নৌকা দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে ব্লক প্রশাসনের বৈঠকে। জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা পরিস্থিতির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রেখেছি। উত্তর মালদহের গঙ্গা ও ফুলহার নদী সংলগ্ন সমস্ত ব্লক প্রশাসনকে সতর্কতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমি বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে আরো যা যা প্রয়োজন সেগুলির ব্যবস্থা করা হবে।
সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পরিদর্শনের সময় জেলাশাসকের সঙ্গে থাকতে পারেন দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা।
এদিকে জল বাড়ছে জেলার অন্য দুই প্রধান নদী গঙ্গা এবং মহানন্দাতেও। বুধবার সন্ধ্যায় মানিকচক ঘাটে গঙ্গা প্রবাহিত হয় ২৩.৪২ মিটার উচ্চতায়। এই এলাকায় গঙ্গার বিপদসীমা ২৪.৬৯ মিটার। অর্থাৎ বিপদ সীমার মাত্র ১.২৭ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে গঙ্গা।
এদিন সন্ধ্যায় ইংলিশবাজারে মহানন্দা নদীর জলস্তর ছিল ১৯.৩২ মিটার। এখানে বিপদসীমা ২১ মিটার এবং চরম বিপদসীমা ২১.৭৫ মিটার।
এদিকে জেলার তিন প্রধান নদীর জল বাড়তে থাকায় যথেষ্টই আতঙ্কে রয়েছেন নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের আশঙ্কা, জলস্তরের বৃদ্ধি যদি অবিলম্বে বন্ধ না হয় তাহলে যার ২০১৭ সালের বন্যার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। তাই সকলেরই প্রার্থনা, অবিলম্বে থামুক নদীর জল। তবে সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জল বাড়লেও এখনই জেলা জুড়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার মত আশঙ্কা নেই। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জলস্তর কমতে থাকলে অনেকটাই সুরাহা হবে বলে আশা করছেন সেচ দপ্তরের কর্তারা।