বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গঙ্গারামপুরের বিডিও বিশ্বজিৎ ঢ্যাং বলেন, আমরা বাঁধে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলিকে এদিন ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছি। প্রত্যেককে পলিথিন, চাল ছাড়াও কিছু জামা কাপড় দিয়ে এসেছি। সেচদপ্তরের রিপোর্ট বলছে, পুনর্ভবা নদীর জল নামতে শুরু করেছে। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে বাসিন্দাদের জানিয়েছি। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের পরিস্থিতির উপর নজর রেখে নিয়মিত রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। বেলবাড়ি গ্রামে মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছি। পানীয় জল পেতে যাতে কারও অসুবিধা না হয় সেজন্য পিএইচই’র জলের পাউচ গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
জেলা সেচদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার স্বপন বিশ্বাস বলেন, জেলার নদীগুলি কোনওটিই গত ২৪ ঘণ্টায় বিপদসীমা ছোঁয়নি। আত্রেয়ী ও পুনর্ভবা নদীর জলে যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছিল সেসব জায়গা থেকে জল ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে। জেলায় বৃষ্টি না হলে দু’দিনের মধ্যে জল নেমে যাবে। তবে বংশীহারি ব্লকের টাঙন নদীর জলস্তর বিপদসীমার কাছে থাকায় বুনিয়াদপুর পুরসভার দু’টি ওয়ার্ডে এদিন সকালে নদীর জল ঢুকে যায়। তপন ব্লকের নদী পাড়ের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আমরা বাঁধগুলি দিকে নিয়মিত নজর রাখছি। কোনও বাঁধে সমস্যা দেখা দিলে তা আমরা সারাই করে দেব।
বুনিয়াদপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের অখিল বর্মন বলেন, আমাদের পুরসভার দু’টি ওয়ার্ডে টাঙন নদীর জল ঢুকেছে। বানভাসিদের ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার সবরকম ব্যবস্থা আমরা করেছি। ওই দু’টি ওয়ার্ডের দুর্গতদের স্থানীয় স্কুলে থাকবার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কাউন্সিলাররা গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বলেন, পুরসভার দু’টি ওয়ার্ডে টাঙন নদীর জল এদিন সকাল থেকে হু হু করে ঢোকে। ঘরের মধ্যে এখন জল জমে আছে। প্রশাসনের কেউ আমাদের দেখতে আসেনি। ত্রাণ সামগ্রীও এখনও মেলেনি। ফের বৃষ্টি হলে বাড়ি ছাড়তে হবে।
বিজেপির চকভৃগুর অঞ্চল সম্পাদক বিপ্লব মণ্ডল বলেন, বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু, সিংহপাড়া, বেলাইন, আত্রেয়ী নদীর পাড়ের গ্রামগুলি দু’দিন ধরে জলমগ্ন হয়ে আছে। বানভাসিদের একাংশ বালুরঘাট রেল স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছেন। কিছু পরিবারকে চকভৃগু এন সি হাইস্কুলে রাখা হলেও খাওয়ারের ব্যবস্থা প্রশাসন করেনি। আমরা দলীয়ভাবে সেখানে থাকা প্রায় ৫০টি পরিবারকে খাওয়ার দিয়েছি। প্রশাসন কোনও কাজ করছে না।
এদিন সকালে বুনিয়াদপুর পুরসভার দু’টি ওয়ার্ডে টাঙন নদীর জল ঢুকে যায়। এতে অনেকের ঘরে হাঁটু পর্যন্ত জল জমে আছে। পরিবারগুলি তাঁদের আসবাবপত্র খাটের উপর তুলে রেখেছে। দুর্গত পরিবারগুলি এদিন রান্না করে খেতে পারেনি। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন কোনও ত্রাণের ব্যবস্থা করেনি। এদিন জেলা প্রশাসনের কর্তারা বংশীহারি ব্লকের দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় টাঙনের বাঁধ পরিদর্শন করেন। সেচদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আত্রেয়ী ও পুনর্ভবা জল নামতে শুরু করেছে। তবে বৃষ্টি হলে ফের জলস্তর বেড়ে গিয়ে সমস্যা হতে পারে। তাই নদী সংলগ্ন বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এদিন সকাল থেকে তপন ব্লকের আমজাদপুর, বজ্রাপুকুর, যাদববাটিতে পুনর্ভবার জল ঢুকে এলাকা প্লাবিত হয়। বুনিয়াদপুর পুরসভার দু’টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ত্রাণ না পেয়ে ক্ষোভ ফুঁসছেন।