বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মাদারিহাটের বিডিও শরণ তামাং বলেন, এদিন বীরপাড়া-লঙ্কাপাড়া রাজ্য সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। বীরপাড়া বাজারের ভেতরে ভাঙা রাস্তা সারাইয়ের বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদের সঙ্গে কথা বলব।
এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের জশিন্তা লাকড়া বলেন, বীরপাড়া বাজারের বেহাল রাস্তা সারাইয়ের প্রস্তাব জেলা পরিষদে জমা দেওয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে।
বীরপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী অজয় প্রসাদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাজারের ভেতরে থাকা বেহাল রাস্তা মেরামত হচ্ছে না। তাই দোকানপাট বন্ধ রেখে নাগরিকদের এই আন্দোলনে আমরাও শামিল হই।
বীরপাড়া-লঙ্কাপাড়া রাজ্য সড়ক নতুন করে বানানোর জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। ১৮ কিমি এই রাস্তায় একাধিক পাকা সেতুও হবে। খোঁড়াখুঁড়ির পর পাথর না ফেলায় বর্ষায় জলভর্তি গর্ত দিয়ে যাতায়াত করতে বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
পূর্তদপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটি খোঁড়া হয়েছে। ওই রাজ্য সড়কের পাশে পিএইচই’র জলের পাইপ লাইন আছে। তা সরাতে কিছুটা সময় লাগছে। তারই জেরে রাস্তার পাথর ও পিচের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
দু’বছর আগে বীরপাড়া-লঙ্কাপাড়া ১৮ কিমি রাজ্য সড়ক নতুন করে নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকার ১৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। ছ’মাস আগে রাস্তার এই কাজের টেন্ডার হয়। কিন্তু খোঁড়াখুঁড়ির পর রাস্তা নির্মাণের কাজ আর শুরু হয়নি। এদিকে জেলা পরিষদকে কর দেওয়ার পরেও বীরপাড়া বাজারের ভেতরের একাধিক রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে আছে। এই দুই ভাঙা রাস্তা কেন সারাই করা হচ্ছে না এই অভিযোগ তুলে এদিন সকাল ৮টা থেকে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা যৌথভাবে অবরোধ আন্দোলন শুরু করেন। ব্যবসায়ীরা এদিন বৃহত্তর স্বার্থে সারাদিন দোকান বন্ধ রেখে আন্দোলন চালিয়ে যান। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাজ্য সড়ক অবরোধ চললেও ঘটনাস্থলে প্রশাসনের কাউকে দেখা যায়নি। ফলে যানজটে চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। বেলা ৩টে নাগাদ মাদারিহাটের বিডিও পুলিসকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বীরপাড়া-লঙ্কাপাড়া রাজ্য সড়কের বরাত পাওয়া এজেন্সির সঙ্গে আলোচনা করেন। বিডিও কথা বলার পরেই বরাত পাওয়া এজেন্সি এদিনই ওই রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করলে অবরোধ উঠে যায়।