বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
এরশাদের মৃত্যু সংবাদে শোকপ্রকাশ করেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। তাঁর বাবা প্রয়াত কমল গুহের সঙ্গে এরশাদের ছিল দীর্ঘদিনের সখ্যতা।দিনহাটায় আসলে একবার বাল্যবন্ধু কমলবাবুর বাড়িতে পা রাখতেনই। তিনি বলেন, বাবার খুব কাছের বন্ধু ছিলেন। অনেকবার তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে, অনেক সময় কাটিয়েছি। তিনি বারবার ছুটে এসেছেন দিনহাটায়। এমনকী বাবার মৃত্যুর পরও অনেকবার এসেছেন। কয়েকদিন আগেও ফোনে কথা হয়েছিল। আমি একজন অভিভাবককে হারালাম। এরশাদ সাহেবের খুড়তুতো ভাই মোশাব্বর হোসেন বলেন, রবিবার সকালে ঢাকা থেকে ফোন করে তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। আমার ছেলে এদিনই ঢাকায় রওনা হয়েছে। তাঁর আত্মীয় সাবিরা সরকার বলেন, উনি খুবই অসুস্থ ছিলেন। রমজান মাসে আমরা ঢাকায় গিয়ে তাঁকে দেখে এসেছি। দিনহাটার বিশিষ্ট আইনজীবী মকবুল হোসেনের ছেলে ছিলেন এরশাদ সাহেব। ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তাঁর জন্ম। ১৯৪৬ সালে দিনহাটা হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে রংপুর কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হন। দেশভাগের সময় তাঁর পরিবার বাংলাদেশের রংপুরে চলে যায়। ১৯৫২ সালে তিনি সেনা অফিসার হিসেবে তৎকালীন পাকিস্তান আর্মিতে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান তাঁকে নজরবন্দি করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশে ফেরেন। একসময় তিনি দেশের সেনাবাহিনীর প্রধান হন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছ’বছর কারাগারে ছিলেন। তিনি ছিলেন ভালো ক্রীড়াবিদ। ফুটবল খেলায় তাঁর প্রতিভা ছিল। তৎকালীন পাকিস্তানের জাতীয় দলের হয়ে ফুটবলও খেলেছেন। ক্ষমতার শীর্ষে গেলেও দিনহাটাকে কখনই ভোলেননি।