কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এব্যাপারে মালদহ জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন, রাজ্যজুড়ে কংগ্রেসের সংগঠন ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিচুতলার সংগঠন মজবুত করার উপর সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে অঞ্চল, ব্লক এবং পুরসভা স্তরের কমিটিতে থাকা নেতানেত্রীদের সাংগঠনিক কার্যকলাপ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত প্রদেশ নেতৃত্ব নিয়েছে। সভাপতি, সহ সভাপতি, কার্যকরী সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদার নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের কমিটির সদস্যদের বয়স, বিগত এক বছরের রাজনৈতিক কার্যকলাপ সহ অন্যান্য তথ্য আজ, সোমবারের মধ্যে সংগ্রহ করার ব্যাপারে প্রদেশ নেতৃত্ব জেলায় জেলায় নির্দেশিকা পাঠিয়েছিলেন। ওই তথ্য সম্বলিত রিপোর্ট ১৯ জুলাই কলকাতার কর্মশালায় জমা দেব। পরে ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে জেলায় পর্যবেক্ষকরা আসবেন। তাঁরা ব্লক ও শহরের পাশাপাশি অঞ্চল কমিটি সম্পর্কে জমা পড়া রিপোর্টেরও হালহকিকত খতিয়ে দেখবেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে কংগ্রেস এ রাজ্যে তেমন সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। মুর্শিদাবাদ ও মালদহ ছাড়া বাকি জায়গায় কংগ্রেস কার্যত অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে। পদ্ম এবং ঘাসফুলের দাপটে বামেদের মতোই কংগ্রেস দিনদিন ‘ব্যাকফুটে’ চলে যাচ্ছে। গত লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরে অধীর চৌধুরী এবং মালদহ দক্ষিণে আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু) ছাড়া আর কোনও প্রার্থী জিততে পারেননি। দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায় কংগ্রেস কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে। সেখানে ভোট প্রাপ্তির নিরিখে অনেক জায়গায় কংগ্রেসের ভোট নির্দল প্রার্থী ও নোটার কাছাকাছি নেমে এসেছে। তুলনায় বিজেপি’র বাড়বাড়ন্ত হয়েছে।
এই অবস্থায় হাতকে নিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। সংগঠনের খোলনলচে বদলে নতুন করে কংগ্রেসকে গড়ে তোলার প্রয়াস শুরু হয়েছে। এই লক্ষ্যেই ১৯ জুলাই কলকাতায় দিনভর কর্মাশালার আয়োজন করা হয়েছে। ওই কর্মশালায় মালদহের পাশাপাশি অন্যান্য জেলা নেতৃত্বকেও ডাকা হয়েছে। সেখানেই জেলা নেতাদের কাছ থেকে সংগঠনের ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হবে। সেইসঙ্গে অঞ্চল, ব্লক এবং শহর কমিটির পদাধিকারী এবং সদস্যদের সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট সংগ্রহ করা হবে।
মোস্তাক সাহেব বলেন, মালদহের ১৫টি ব্লক এবং ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের সংগঠন শক্তিশালী রয়েছে। ব্লক এবং অঞ্চল স্তরে দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিও রয়েছে। তবে ইংলিশবাজার শহরে আমরা সাংগঠনিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়েছি। শহরে কর্মীর অভাব না থাকলেও সেভাবে নেতা উঠে আসছে না। আমরা শহরে দ্রুত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এক্ষেত্রে পুরাতন মালদহ মডেলকেই অনুসরণ করা হবে। শহরকে ওয়ার্ডভিত্তিক তিনটি ভাগে ভাগ করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি করা হবে।
মোস্তাক সাহেব বলেন, বর্তমানে তৃণমূল এবং বিজেপি’র কবল থেকে মানুষ বের হতে চাইছে। বিকল্প ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি হিসাবে কংগ্রেসকেই তারা বেছে নিচ্ছে। আগামী দিনে কংগ্রেস আরও শক্তিশালী হবে। সেই পূর্বাভাস পাওয়ার ফলেই প্রদেশ নেতৃত্ব তৃণমূল স্তর থেকে সংগঠনকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিয়েছে। কংগ্রেস ফের আগের মতোই মানুষের মনে ঠাঁই করে নেবে বলে আমরা আশাবাদী।