গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
অনশনে বসা দীনবন্দু বর্মন, প্রশান্ত বর্মনের অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতার হাত অনেক লম্বা রয়েছে। টাকা দিলে চাকরি অবধারিত, এমন টোপ দিয়ে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ তিনলক্ষ টাকা পর্যন্ত তিনি নিয়েছেন। প্রত্যেককেই বলেছিলেন শীঘ্রই সরকারি চাকরি পাইয়ে দেবেন। কিন্তু বছর ঘুরলেও কারও চাকরি দিতে পারেননি। এখন টাকা চাইতে গেলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে চলেন। বাধ্য হয়ে এলাকার আমরা পরিবার নিয়ে ওই নেতার বাড়ির সামনে অনশনে বসেছি।
অনশনকারীদের দাবি, এদিনও ওই নেতাকে বারবার টাকা ফেরানোর দাবি জানানো হলেও তিনি কথায় কান দেননি। টাকা ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালানোর হুমকি তাঁরা দেন। এনিয়ে কেশরিবাড়িতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্ত ওই নেতার সঙ্গে এদিন টেলিফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ফোন স্যুইচড অফ ছিল। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
শীতলকুচির বিধায়ক তৃণমূলের হিতেন বর্মন বলেন, যাঁর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেদলের কোনও নেতা নয়। ওই ব্যক্তি একাধিক সময়ে একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কার কাছ থেকে কখন টাকা নিয়েছে তার দায়ভার আমাদের নেই। তবে আমাদের নেত্রী ঘোষণা করেছেন যাঁরা চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন বা কাটমানি খেয়েছেন তাঁরা যেন সেই টাকা ফেরত দেন। প্রতারিতরা থানায় অভিযোগ করতে পারেন।
বিজেপির কোচবিহার-১০ মণ্ডলের সভাপতি অমল অধিকারী বলেন, তৃণমূলের সমস্ত স্তরের নেতা চাকরি থেকে শুরু করে উপভোক্তাদের সরকারি সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছেন। সবই ধীরে ধীরে সামনে আসছে। আমরা নৈতিকভাবে অনশনকারীদের আন্দোলনের পক্ষে আছি।