গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিরোধী শূন্য ডোমকল পুরসভায় দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। জেলা নেতৃত্ব বেশ কয়েকবার হস্তক্ষেপ করেও দ্বন্দ্ব মেটাতে পারেনি। পুরসভায় মোট কাউন্সিলার রয়েছেন ২০জন। এখানে মোট আসন সংখ্যা ২১। একজন কাউন্সিলারের মৃত্যু হওয়ায় এখন ২০জন রয়েছেন। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ১৫ জন কাউন্সিলার রয়েছেন। প্রথমে অবশ্য অনাস্থা প্রস্তাবে ১৩জন সই করেছিলেন। পরে আরও দু’জন কাউন্সিলার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চলে যান। এই কাউন্সিলাররা বেশ কিছুদিন ধরে উন্নয়নের পক্ষে সওয়াল করে পুরসভার শাসক গোষ্ঠীর রোষের মুখে পড়েন বলে তাঁদের দাবি।
সৌমিকবাবু বলেন, এর পিছনে নিশ্চয়ই কারও উস্কানি রয়েছে। আমার দোষ থাকলে তো ওরা আগেই অনাস্থা আনতে পারত। কিন্তু তা না করে হঠাৎ করেই লোকসভা নির্বাচনের পরেই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হল। দলের এই অবস্থার মধ্যে এটা যারা করছে তারা কখনোই সংগঠনের ভালো চায় না। তবে আমি দলের সৈনিক। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই মাথা পেতে নেব। আমি কখনই দলের বিরুদ্ধে যাব না। দল সরে যেতে বললে সরে যাব। ডোমকলে যখন কোনও সংগঠন ছিল না। তখন আমি কাজ করেছি। দলকে আমি ভালোবাসি। নেতৃত্ব ডেকেছে, তাই বুধবার কলকাতায় যাব।
দলের প্রবীণ নেতৃত্ব চাইছেন, ডোমকলের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের দ্রুত অবসান হোক। রাজ্য নেতৃত্ব পদক্ষেপ নিয়ে এই অস্থির পরিস্থিতির অবসান ঘটাক। তা না হলে বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকায় ফের কংগ্রেস সুবিধাজনক জায়গা পেয়ে যাবে। তা দলের পক্ষে মোটেও ভালো হবে না। রাজনৈতিক মহলের মতে, এমনিতেই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে জয়ের পর কংগ্রেস আবার মাথা তুলতে শুরু করেছে। তারপরে তৃণমূলের নিজেদের কোন্দল এভাবে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করলে কংগ্রেস শিবির আরও সুবিধাজনক জায়গায় চলে যাবে। তাছাড়া বিজেপিও এই সুযোগে কোথাও কোথাও মাথা তোলার চেষ্টা করছে। তাই অনেকেই চাইছেন ডোমকলে গোষ্ঠী কোন্দল জিইয়ে না রেখে সুষ্ঠভাবে সমাধান করা হোক।