বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
জলপাইগুড়ি শহরের ২৫টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ১৫ হাজার টোটো বিভিন্ন রাস্তায় চলাচল করছে। শহর ও শহর সংলগ্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে রুটিরুজির তাগিদে টোটো নিয়ে অনেকেই শহরমুখী হচ্ছেন। ট্রাফিক পুলিসকে এত বেশি সংখ্যক টোটোর চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে নাজেহাল হতে হচ্ছে। বাসিন্দারা বলছেন, কদমতলা, উকিলপাড়া, মার্চেন্ট রোড, দিনবাজার, থানা রোড, স্টেশন রোড, হাসপাতাল রোড এলাকায় হেঁটে চলাচল করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। টোটোর দাপটে সাইকেল, মোটরবাইক নিয়ে ১০ মিনিটের রাস্তা যেতে আধ ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে টোটো চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ পুজোর সময় কিছুদিন থাকলেও অন্যান্য সময়ে অবাধে টোটো চলাচল করছে। ফলে পথচারীরা দুর্ভোগে পড়ছেন। কদমতলা থেকে উকিলপাড়া যাওয়ার রাস্তায় যানজটে মাঝেমধ্যে যানবাহন চলাচল থমকে যায়। ওই রুটে যাত্রীবাহী বাস ঢুকলেই দু’দিক থেকে শত শত টোটো, মোটর বাইক সহ অন্যান্য প্রাইভেট গাড়ির লাইন পড়ে যায়। পুরসভায় যানজটের ফলে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটছে। স্কুল পডুয়া থেকে অফিস যাত্রীরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না।
পুরসভার বিরোধী কংগ্রেস কাউন্সিলার অম্লান মুন্সি বলেন, শহরের রাস্তা দিনদিন সংকীর্ণ হচ্ছে। রাস্তার উপর যেখানে সেখানে খুঁটি পুঁতে হোর্ডিং লাগানোর অনুমতি দিয়েছে পুরসভা। ব্যস্ত রাস্তায় যানবাহন চলাচলে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে কৃত্রিম যানজট তৈরি করে শহরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুরসভা সেই দায়িত্ব এড়াতে পারে না। পার্কিং জোন ছাড়াই একের পর এক শপিংমল গড়ে উঠেছে। ক্রেতারা বাইক, প্রাইভেট কার সেই রাস্তার একাংশ জুড়ে পার্কিং করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে এতেও যানজট বেড়ে যাচ্ছে। যদিও চেয়ারম্যানের আশ্বাস শীঘ্রই অবাধ টোটো চলাচল বন্ধ করতে পদক্ষেপ করবে পুরসভা।