বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
পুরসভার প্রশাসক আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক কৃষ্ণাভ ঘোষ অবশ্য বলেন, শহরের নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল অবস্থার অভিযোগ ঠিক নয়। বাস্তবে কালজানির জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় কালজানি বাঁধের স্ল্যুইস গেটগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। সেজন্যই শহরের জমা জল বের হতে অসুবিধা হচ্ছে। জলবন্দিদের উদ্ধারে নৌকা নামানো হয়েছে। দুর্গতদের চাল ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সব রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি আছে।
শনিবারের রাতের বৃষ্টিতে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুপাড়া, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিপাড়া, মনোজিৎ নাগ বাস টার্মিনাস, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিধানপল্লি, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিলনপল্লি, মুণ্ডাপাড়া, নেতাজিপাড়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দনগর, ১ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দনগরের নীচু এলাকাগুলি, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশবাড়ি এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের হঠাৎ কলোনি, প্রমোদনগর ও সঞ্জয় কলোনি, বিএম ক্লাব মাঠ পুরো জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জলবন্দি এলাকাগুলিতে কোথাও হাঁটু ও কোমর সমান জল জমে যায়। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এরমধ্যে ১৮, ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জলবন্দিদের নৌকা দিয়ে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শহরের পাশে কালজানি বাঁধে শতাধিক জলবন্দি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। পুরসভা থেকে দুর্গত বাসিন্দাদের মধ্যে এদিন চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। সব মিলিয়ে শনিবারের রাতের বৃষ্টিতে শহরের ৫০০০ বাসিন্দা জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। বাসিন্দাদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় কালজানির স্ল্যুইস গেটগুলি সেচদপ্তর বন্ধ করে দেওয়ায় শহরের জমা জল কালজানিতে গিয়ে পড়ছে না।
তবে পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বিদায়ী কাউন্সিলাররা জলবন্দি পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি কোনও কিছু করতে পারছেন না। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাঁরা সরাসরি প্রাক্তন কাউন্সিলারদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছেন না। শাসক দলের এক প্রাক্তন কাউন্সিলার বলেন, পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এর আগে গত মাসে শহরে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের সময় জলবন্দি মানুষদের মধ্যে পুরসভার সঙ্গে ত্রাণে সাহায্য করার জন্য বিরোধীরা সমালোচনা করেছিল। ত্রাণ বিলি নিয়ে প্রাক্তন কাউন্সিলারদের বিরুদ্ধে অনিয়মের ভিত্তিহীন অভিযোগও করা হয়েছিল। তবে পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই কাউন্সিলার সুভাষ কর চৌধুরী বলেন, তবু মানবিক কারণে আমরা যতটা পারি দুর্গতদের সাহায্য করছি। পুরসভা অবশ্য জানিয়েছে, প্রাক্তন কাউন্সিলাররা নয়, পুরসভার কর্মীরাই দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিলি করছে। এদিকে, রবিবার জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা, মহকুমা শাসক কৃষ্ণাভ ঘোষ ও পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি শহরের জলবন্দি এলাকা ঘুরে দেখেন। জেলাশাসক বলেন, আমরা সব রকম অবস্থার জন্য তৈরি আছি।