বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
চোপড়ার ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের মহম্মদ হালিমুদ্দিন বলেন, ঘিরনিগাঁওয়ের গোয়ালগছ, চান্দাপাড়া, লথাগছ সহ বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বহু গ্রামে জল আটকে আছে। রাস্তাঘাট, বাড়িতে জল উঠেছে।
চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুল রহমান কলেন, লক্ষ্মীপুর, দাসপাড়া ও ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশকিছু গ্রামে জল দাঁড়িয়ে আছে। সীমান্ত এলাকায় সিপিডব্লুডি’র বেশকিছু কালভার্ট আছে। ওসব কালভার্টের মুখ বিএসএফ তারজালি দিয়ে আটকে রেখেছে। ফলে সেখানে আবর্জনা আটকে জল দাঁড়িয়ে আছে। এবিষয়ে আমি জেলাশাসককে জানিয়েছি।
কানকি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফরওয়ার্ড ব্লকের মহম্মদ আকবর হুসেন বলেন, গত কয়েক দিনের অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতে মহানন্দা নদীর জল অনেকটা বেড়েছে। টিটিয়া, সানিসুইয়া, সুইয়া, মাটিয়ারি, নয়া নগর এবং দেওগাঁওতে নদীর জল ঢুকেছে। শনিবার রতে ঝড়ের কারণে সাহাসপুর গ্রামে ১৫টি ঘর ভেঙে পড়েছে।
চাকুলিয়ার বিডিও সুপ্রেম দাস বলেন, রবিবার সকালে আমি সাহাসপুর গ্রামে ঘুরে এসেছি। সেখানে মহনন্দার জল কয়েকটি এলাকায় ঢুকেছে। কানকি, মনোরা এবং সূর্যাপুরে ফ্লাড শেল্টার খোলা হয়েছে। আমরা নৌকাও রেখেছি। তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির তেমন হয়নি।
ডালখোলা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তথা বিদায়ী চেয়ারম্যান সুভাষ গোস্বামী বলেন, মহানন্দা নদীতে জল বেড়েছে। ওই জল পূর্ণিয়া মোড় দিয়ে শহরে ঢুকছে। দুর্গতদের জন্য আমরা সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক রজতকান্তি বিশ্বাস বলেন, এখনও মহানন্দার জল বিপদসীমা ছোঁয়নি। তবে আরও বেশি বৃষ্টি হলে জলস্তর বিপদসীমা স্পর্শ করবে। আমরা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি।
ডালখোলার নিচিতপুর, লাহাসারা, মান্নাটোলি, দৌলতপুর সহ অনেক একাকাতেই মহানন্দার জল ঢুকেছে। ইসলামপুরের থুকরাবাড়িতে রতুয়া নদীতে জল বৃদ্ধির কারণে ফকিরডাঙা, চান্দি, মরিচবাড়ি, রবিভিটা, প্রাচী, কদমভিটা, মালিটোলা, কাচারিগছ সহ কয়েকটি গ্রামে যাওয়ার রাস্তায় হাঁটু জল দাঁড়িয়ে আছে।
এদিকে শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ইসলামপুরে দফায় দফায় ঝড় হয়। ওই সময় থেকে শহরের একাধিক এলাকা লোডশেডিং হয়ে যায়। বাসিন্দারা রাতেই বিদ্যুৎ দপ্তরের ইসলামপুর কার্যালয় ফোন করেন। কিন্তু সেখানে বারেবারে টেলিফোন রিং হয়ে গেলেও কেউ রিসিভ করছিলেন না বলে অভিযোগ তাঁদের। যদিও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা জানান, বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ে গাছ পড়ে যাওয়ার খবর পেয়েই তাঁরা কাজে গিয়েছিলেন। রাতে কয়েকবার বিদ্যুৎ এলেও আবার চলে যায়। রবিবার দুপুরের পর কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে।